চলতি আইএসএলের শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters)। প্রথম ম্যাচে পরাজিত হয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল এই ফুটবল ক্লাব। পরবর্তীতে দল জয়ের সরণিতে ফিরলেও বজায় থাকেনি সেই ধারাবাহিকতা। স্বাভাবিকভাবেই পয়েন্ট টেবিলের অনেকটাই নিচে গিয়ে পৌঁছে ছিল দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। সেই নিয়ে ব্যাপক হতাশা দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। সেখানে থেকে ঘুরে দাঁড়ানোই প্রধান লক্ষ্য ছিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এই ফুটবল ক্লাবের। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের হাত ধরেই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে নোয়া সাদাউরা।
তবে দলের পারফরম্যান্সের কথা মাথায় রেখে এবারের উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে একাধিক বদল আনতে তৎপর ছিল ম্যানেজমেন্ট। সেইমতো গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একাধিক ফুটবলারদের দিকে নজর ছিল দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাবের। সপ্তাহ কয়েক আগেই এক বিদেশি ফুটবলারকে দলে টানে কেরালা। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক ছিল সকলের কাছেই। তবে শুধু বিদেশি ফুটবলার নয়। রক্ষণভাগকে শক্তিশালী করতে বেশ কয়েকজন ভারতীয় ডিফেন্ডারদের সঙ্গে ও কথাবার্তা শুরু করেছিল এই ফুটবল ক্লাব।
অবশেষে গত রবিবার বিকাশ ইয়ুমনকে দলে টেনে নেয় আদ্রিয়ান লুনাদের ফুটবল ক্লাব। বছর কয়েক আগে পাঞ্জাব এফসি থেকে তাঁকে দলে টেনেছিল চেন্নাইয়িন এফসিতে। গত সিজনে সেই দলের জার্সিতে খেললেও এই সিজনে খুব একটা নজর কাড়তে পারছিলেন না ওয়েন কোয়েলের ফুটবল দলে। মোট এগারোটি ম্যাচ খেলে মাত্র একটি অ্যাসিস্ট ছিল মনিপুরের এই ফুটবলারের। এবার বাকি মরসুমের জন্য তাঁকেই দলে টেনেছে কেরালা ব্লাস্টার্স। বিকাশের আগমণে আগের থেকে হয়তো অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে উঠবে কেরালার রক্ষণভাগ।
দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, ” আমি এই দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে যথেষ্ট আনন্দিত। ক্লাবটির সমর্থন এবং তরুণ প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়ার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে এবং আমি এখানে আমার সময়কালে দলের সাফল্যে অবদান রাখতে চাই। সেইসাথে এই সিজনে দলের হয়ে চূড়ান্ত সাফল্য পেতে চাই।”