বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট দলের (India Cricket Team) নজরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ (ICC Champions Trophy)। সেই লক্ষ্যেই ১৮ জানুয়ারি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে (BCCI) ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তান (Paskistan)। কিন্তু ভারত তাদের ম্যাচ গুলি খেলবে দুবাইয়ের মাটিতে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ দুই প্রতিবেশী দেশ সহ নিউজিল্যান্ড।
আইসিসির চূড়ান্ত সূচি অনুযায়ী ভারতীয় ক্রিকেট দল আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে। এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২ মার্চ তাদের পরবর্তী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতার জন্য ভারতের নির্বাচকদের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে স্কোয়াড সাজানো হয়েছে।
ভারতের সম্ভাব্য ওপেনিং জুটি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতের প্রথম একাদশে ওপেনিং জুটি হিসেবে রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিলকে দেখা যেতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে এই দুজন ওপেনার হিসেবে বেশ সফলভাবে খেলেছেন। বিশেষ করে ২০২৩ একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তাদের ব্যাটিং ছিল দুর্দান্ত, যেখানে তারা ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন।
তবে, যশস্বী জয়সওয়ালের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কিছু আলোচনা চলছে। তরুণ এই ওপেনারের দুর্দান্ত ফর্ম থাকা সত্ত্বেও, প্রথম একাদশে তাকে সুযোগ দেওয়া হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জয়সওয়ালের যদি সুযোগ না হয়, তাহলে ভারতীয় দল সম্ভবত রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিলকে ওপেনিং জুটিতে খেলাতে বেশি পছন্দ করবে।
মিডল অর্ডারে কে থাকবেন?
ভারতের মিডল অর্ডারে তিন নম্বরে ব্যাট করবেন বিরাট কোহলি। কোহলি ওয়ানডে ক্রিকেটে তিন নম্বরে খেলা বেশি পছন্দ করেন এবং সেখানে তার ব্যাটিং অত্যন্ত সফল। তিনি একাধিক ম্যাচে এই পজিশনে নিজের ফর্ম দেখিয়েছেন এবং বড় রান করেছেন।
এর পাশাপাশি, কেএল রাহুল এবং হার্দিক পান্ডিয়া মিডল অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। বর্তমানে হার্দিক পান্ডিয়া দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। সম্প্রতি মুস্তাক আলি ট্রফি এবং বিজয় হাজারে ট্রফিতে তার পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। এই কারণে, অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাকে ব্যাটিং বিভাগে সুযোগ দিতে চাইবেন। এছাড়া উইকেটকিপার হিসেবে এবং আক্রমনাত্মক ব্যাটিংয়ের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে ঋষভ পন্থকে।
ভারতের বোলিং বিভাগ
ভারতের বোলিং বিভাগেও বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। স্পিন বোলিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ওয়াশিংটন সুন্দর এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে। এই দুই স্পিনারই সাম্প্রতিক সময়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন এবং তাদের মিশ্রণ দুবাইয়ের কন্ডিশনে ভালো কাজ করতে পারে।
পেস বোলিংয়ের দিক থেকে, ভারতের পেস আক্রমণ হবে যথেষ্ট শক্তিশালী। মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহ এবং আর্শদীপ সিংকে দলে রাখা হতে পারে। বুমরাহ ও শামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বমানের বোলার হিসেবে পরিচিত। আর্শদীপ সিংও গত কয়েক বছরে তার ধারাবাহিক বোলিং দিয়ে নজর কেড়েছেন।
ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াড :
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামি, আর্শদীপ সিং, যশস্বী জয়সওয়াল, ঋষভ পন্থ, রবীন্দ্র জাদেজা
এই স্কোয়াডে অনেক অভিজ্ঞ এবং তরুণ খেলোয়াড়ের মিশ্রণ রয়েছে, যা দলের ব্যালান্সে সাহায্য করবে। ভারতের ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং বিভাগে যথেষ্ট গভীরতা রয়েছে। যা প্রতিটি ম্যাচে দলকে সাফল্য অর্জনে সাহায্য করবে।