‘গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, আমি কিছু করিনি’, কাঠগড়ায় চিৎকার সঞ্জয়ের

কলকাতা: আরজি কর মামলায় ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত৷ সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে তাঁর৷ এদিন রায় শোনার পর আদালতের ভিতরেই…

কলকাতা: আরজি কর মামলায় ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত৷ সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে তাঁর৷ এদিন রায় শোনার পর আদালতের ভিতরেই চিৎকার শুরু করেন সঞ্জয়। বলেন, “আমি কিছু করিনি। যারা করেছে তাদের কেন ছেড়ে দেওয়া হল? আমার কোনও দোষ নেই। সবাই মিলে করেছে।” এদিন বিচারকের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেন আরজি কর-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত৷ দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে৷ গলায় থাকা রুদ্রাক্ষের মালার কথা উল্লেখ করে সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে এই অপরাধ করব? যদি এই অপরাধ করতাম তাহলে রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে পড়ে যেত। স্যার, আপনি বুঝতেই পারছেন আমাকে পুরো ফাঁসানো হচ্ছে।” যদিও আজ আর সঞ্জয়ের কোনও বক্তব্যই শোনেনি আদালত৷ আগামী সোমবার তাঁর কথা শুনবেন বিচারক৷ ওই দিনই বেলা সাড়ে ১২টায় সাজা ঘোষণা হবে তাঁর৷

দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় 

 শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ শিয়ালদহ আদালত ভবনের তিনতলার ২১০ নম্বর কক্ষে বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাস শুরু হয়৷ সঞ্জয়কে এজলাসে নিয়ে আসা হলে বিচারক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আপনি ঘটনার দিন ভোরে আরজি করে ঢুকেছিলেন। সেখানে পড়ুয়া চিকিৎসককে আক্রমণ করেন এবং তাঁর মুখ চেপে ধরেন। এর পর তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালান। নির্যাতিতার মৃ্ত্যু হয়৷ 

   

 

বিচারক দাস আরও বলেন, চার্জশিটে আপনাকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬, ১০৩(১) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। চার্জগঠন করা হয়েছে।  সাক্ষীদের জেরা করে এবং সিবিআইয়ের আইনজীবীদের আনা নথি ও তথ্যে আপনার অপরাধ প্রমাণিত। আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হল৷ 

এর পরেও হাত জোড় করে ‘স্যর’ ‘স্যর’ বলে চিৎকার করতে থাকেন সঞ্জয়। বলেন, ‘‘আমি গরিব। আমি এই কাজ করিনি। যারা করেছে, তাদের কেন ছাড়া হচ্ছে?’’ তার পরেই সঞ্জয়কে জোর করে এজলাস থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়৷