এগিয়ে থেকেও এবার আটকে গেল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। সূচি অনুসারে শুক্রবার সন্ধ্যায় আইএসএলের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল খালিদ জামিলের শক্তিশালী জামশেদপুর এফসির সঙ্গে। পূর্ণ সময় শেষে ১-১ গোলের ফলাফলে শেষ হয় এই ম্যাচ। এদিন সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল করেন শুভাশিস বসু। অন্যদিকে, জামশেদপুর এফসির হয়ে গোল করেন স্টিফেন এজে। একটা সময় বাগান অধিনায়কের করা গোলেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কিন্তু সেটা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।
আসলে এদিন অ্যাওয়ে ম্যাচ থাকলেও প্রথম থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের। ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারেই গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন বাগান তারকা জেমি ম্যাকলারেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। পোস্টে লেগে বল চলে যায় মাঠের বাইরে। তবে সেখানেই শেষ নয় পরবর্তী আর বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো থেকে শুরু করে দীপক টাংরিরা। কিন্তু ফিনিশ করা সম্ভব হচ্ছিল না কারুর পক্ষেই। তবে দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষের দিকেই চলে আসে সেই বহু প্রতীক্ষিত গোল।
২৫ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান ডিফেন্ডার শুভাশিস বসুর গোলে এগিয়ে যায় গতবারের লিগ শিল্ড জয়ীরা। প্রথমার্ধের শেষে সেই একটি মাত্র গোলেই এগিয়ে থাকে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে ফিরতে শুরু করে জাভি হার্নান্দেজ থেকে শুরু করে প্রতীক চৌধুরীরা। কিন্তু বাগানের বিপক্ষে গোল তোলা যে খুব একটা সহজ কাজ হবে না সেটা বলাই চলে। বিশেষ করে টম অলড্রেড থেকে শুরু করে আলবার্তো রদ্রিগেজদের মতো ডিফেন্ডারদের উপস্থিতিতে গোলের মুখ খোলা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই বুঝতে পেরেছিলেন জামশেদপুর কোচ।
তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী রাই তাচিকাওয়া থেকে শুরু করে জাভিয়ের সিভেরিও টোরোদের মাঠে আনেন খালিদ জামিল। তবে ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একাই উঠে আসতে থাকেন ডিফেন্ডার স্টিফেন এজে। তাঁকে আটকাতে গিয়ে কার্যত নাজেহাল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল বাগান ফুটবলারদের। অনায়াসেই প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের কাটিয়ে বাগান রক্ষণভাগে ঢুকে পড়েন এই বিদেশি তারকা। সেখান থেকেই শট নিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালের মধ্যে। যার কোনও জবাব ছিল না বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথের কাছে। শেষ পর্যন্ত এই অমীমাংসিত ফলাফলেই শেষ হয় ম্যাচ।