দীর্ঘ বিরতিতে যাচ্ছেন লাল-হলুদের আরও এক ফুটবলার?

চোট সমস্যায় আনোয়ারের (Anwar Ali) চোট চিন্তায় ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) শিবিরকে। প্রায় আরও ৩ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই তারকা ডিফেন্ডার আনোয়ার…

Delhi FC Files Fresh Case in Delhi High Court Over Anwar Ali Saga, Challenges AIFF PSC's Legal Compliance

short-samachar

চোট সমস্যায় আনোয়ারের (Anwar Ali) চোট চিন্তায় ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) শিবিরকে। প্রায় আরও ৩ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই তারকা ডিফেন্ডার আনোয়ার আলিকে (Anwar Ali) । পায়ের হাড়ে চিড় ধরার কারণে মাঠ থেকে প্রায় ছিটকে গেলে আনোয়ার।

   

মুম্বই এফ সি র (Mumbai FC) বিরুদ্ধে ৯০ মিনিট শেষে খোড়াতে খোড়াতে মাঠ ছাড়েন আনোয়ার। পরবর্তীতে ফুটবলারদের টিম হোটেলে যাওয়ার সময় তাকে হুইল চেয়ারে বসে যেতে দেখা যায়। যার কারণে বড় ম্যাচেও থাকতে পারেন নি তিনি। ম্যাচে সেই প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

আনোয়ারের এই চোট সমস্যায় ফেলেছে কোচ ব্রুজোকে। আগামী রবিবার ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ এফ সি গোয়ার বিরুদ্ধে, তাও আবার তাদের ঘরের মাঠে। এমত অবস্থায় আনোয়ারের পরিবর্তে ব্রুজো কাকে খেলাতে পারেন চোখ থাকবে সেই দিকে। কারণ হিজাজি মাহের এবং হেক্টর ইউস্তের ফর্ম নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে হিজাজির ‘শিশুসুলভ’ ভুলের মাশুল দিতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। এমনকি গত ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বিরুদ্ধেও একই জিনিস দেখা যায়।

এবিষয়ে ইস্টবেঙ্গল ও জাতীয় দলের প্রাক্তন ডিফেন্ডার অর্ণব মণ্ডল বলছেন, ”যদি পরিবর্তন করাই হয়, তাহলে হিজাজিকেই করা উচিত। মুম্বই সিটি-র বিরুদ্ধে মারাত্মক ভুল করেছিল। ডার্বির দিনও আশিস রাইয়ের বাড়ানো বলটা ও বুঝতেই পারেনি। ফুটবলার মন্থর হতেই পারে। সেটা মানিয়ে নেওয়াও যায়। কিন্তু হিজাজি বড্ড ভুল করে বসছে। একই ভুল বারংবার হচ্ছে। ওর মধ্যে লিডারশিপ দেওয়ার ক্ষমতাও নেই।”

আশিয়ান জয়ী গোলকিপার সন্দীপ নন্দী বলছেন, ”গোলকিপারের আগে যে দু’জন ডিফেন্ডার রয়েছে ইস্টবেঙ্গলে, তারা কেউই প্রভসুখান গিলকে নির্ভরতা দিতে পারছে না। বারবার ভুল করছে ওরা। মোহনবাগান ছেড়ে দিল হেক্টরকে, ইস্টবেঙ্গল তাকেই নিয়ে নিল। আমার মতে, হেক্টরের পরিবর্তে নতুন কোনও বিদেশি খোঁজা উচিত। ওর বয়সও হয়েছে। হিজাজিও ভুল করছে। আমার মতে এভাবে খেলোয়াড় না খুঁজে প্রাক্তন ফুটবলারদের কাজে লাগানো উচিত। ডগলাস, ব্যারেটো রয়েছে। ওদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে ব্রাজিলীয় প্লেয়ার খোঁজা যায়। সুলে মুশা রয়েছে। ওরা পরামর্শও নেওয়া যায়। দরকার পড়লে উগা ওপারাকেও জিজ্ঞাসা করা যায়।”

কলকাতার তিন প্রধানে খেলা ডগলাস দ্য সিলভা আবার হিজাজির দিকে ভোট দিয়েছেন, প্রাক্তন ব্রাজিলীয় তারকা বলছেন, ”হেক্টর খুব স্লো। ডার্বির দিন দেখা গেল ম্যাকলারেন ওকে সহজেই পরাস্ত করে দিল। আর ওর পজিশনও ঠিক ছিল না। আমার মতে, যদি বাদ দিতে হয় হেক্টরকে বাদ দেওয়া উচিত। হিজাজি হয়তো আইএসএলের মান অনুযায়ী খেলতে পারছে না। কিন্তু ও বাঁ পায়ের ফুটবলার। দল যদি ৩-৫-২ পদ্ধতিতে খেলে, তাহলে ওকে লেফট ব্যাক হিসেবে খেলানো সম্ভব। সেট পিসের সময়ে প্রতিপক্ষের বক্সে গিয়ে গোল করার চেষ্টা করে। প্রয়োজনে হিজাজিকে মাঝমাঠেও দেখে নিতে পারেন কোচ।”

অন্যদিকে অপর বিদেশি ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তেকে গতিতে পরাস্ত করে ম্যাকলারেন গোল করেন। তাই কাকে দলে রাখবেন তিনি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশী ভেনেজুয়েলার রিচার্ড সেলিসের দিকেও নজর থাকবে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের।