সইফের ছোট ছেলে জেহই টার্গেট! বন্দি করে ১ কোটির মুক্তিপণ দাবি? তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

মুম্বই: বুধবার মধ্যরাতে বান্দ্রায় নিজের বাড়িতেই ছুরিকাহত হন বলিউড তারকা সইফ আলি খান৷  ওই বাড়িতেই স্ত্রী করিনা কাপুর ও দুই শিশুপুত্র তৈমুর ও জেহকে নিয়ে থাকেন…

Attacker Entered Room Of Saif's Son Jeh Demanded Rs 1 Crore

short-samachar

মুম্বই: বুধবার মধ্যরাতে বান্দ্রায় নিজের বাড়িতেই ছুরিকাহত হন বলিউড তারকা সইফ আলি খান৷  ওই বাড়িতেই স্ত্রী করিনা কাপুর ও দুই শিশুপুত্র তৈমুর ও জেহকে নিয়ে থাকেন ছোটে নবাব৷ এই ঘটনায় তদন্তে নেমে এবার নতুন তথ্য হাতে পেল পুলিশ। ওই দুষ্কৃতী নাকি সইফ-করিনার চার বছরের ছোট ছেলে জেহকে বন্দি করার বানিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করেছিল ১ কোটি টাকা দাবি করার পরিকল্পনা করেছিল৷ 

   

জেহর ঘরে ঢোকে দুষ্কৃতী Attacker Entered Room Of Saif’s Son Jeh Demanded Rs 1 Crore

পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার রাতে সইফের ফ্ল্যাটে ঢোকার পর প্রথমেই জেহের ঘরে ঢোকে ওই দুষ্কৃতী৷ জেহের দেখভালের দায়িত্বে থাকা পরিচারিকা জানান,  ধারালো অস্ত্র হাতে জেহর ঘরে ঢোকে ওই দুষ্কৃতি। জেহকে বাঁচাতে আততায়ীর সঙ্গে হাতাহাতি হয় তাঁর৷ চিৎকার শুনে ছুটে আসেন সইফ ও বাড়ির আরও একজন কর্মী। এর পর ছেলেকে বাঁচাতে ধস্তাধস্তি শুরু হয় সইফের সঙ্গে৷ সেই সময়ই ধারালো অস্ত্র দিয়ে সইফের শরীরে ছ’বার কোপ বসায় ওই দুষ্কৃতী। শিরদাঁড়ার কাছে গুরুতর চোট পান অভিনেতা৷ অস্ত্রোপচার করে ধারালো অস্ত্রের ভাঙা অংশ বার করে আনেন চিকিৎসকেরা৷ 

১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতী জেহকে বন্দি করে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তবে সইফ মথানত না করে  সাহসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে৷ যার জেরে উদ্দেশ্যপূরণ করতে পারেনি ওই আততায়ী। সইফের উপর হামলা চালিয়েই পালিয়ে যায় সে৷ ঘটনাটি ঘটে রাত্রি আড়াইটে নাগাদ৷ সেই সময় বাড়ির সকল সদস্যই ঘুমের মধ্যে ছিলেন৷ জেহ তাঁর দুই ন্যানি ইলিয়াম্মা ও জুনুর সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলেন৷ ইলিয়াম্মাই প্রথম ওই আততায়ীকে দেখতে পান৷ সেই সময় জেহর খাটের দিকে এগোচ্ছিল সে৷ ছুটে গিয়ে জেহকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তিনি৷ কিন্তু, ওই আততায়ী তাঁকে ভয় দেখিয়ে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে৷ সইফ ঘরে ঢুকলেই হামলা চালায় সে৷ 

এখনও অধরা অভিযুক্ত 

এদিকে, পুলিশের তরফে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত যুবক তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে আসছে। চোখে মুখে ভয়ের ছাপ। একবার সিঁড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরার দিকেও তাকায় সে৷ তবে এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি৷ তবে প্রশ্ন উঠেছে, কারও নির্দেশে কি এই কাজ করেছে দুষ্কৃতী? উত্তর খুঁজছে মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা৷ সাত সদস্যের একটি দল গঠন করে শুরু হয়েছে তদন্ত৷