মেদিনীপুরের স্যালাইন বিভ্রাটের ঘটনায় মৃত প্রসূতি মামনি রুইদাসের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikar) একটি বড় দাবি তুলেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, “৫ লক্ষ নয়, ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে রাজ্যকে।” বৃহস্পতিবার তিনি মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেন এবং আরও ৮ লক্ষ টাকা দেওয়ার আশ্বাসও দেন। শুভেন্দু জানিয়েছেন(Suvendu Adhikar) , “মুখ্যমন্ত্রী ৫ লক্ষ টাকার কথা ঘোষণা করেছেন, কিন্তু আমি ৫০ লক্ষ টাকা দেব।”
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikar) আরও বলেন, “বাচ্চাটার দায়িত্ব আমার, আমি তোমাদের পাশে আছি। ২ লক্ষ টাকা দিয়ে গিয়েছি, বাকী ৮ লক্ষ টাকা আমি দেব। চিন্তা করার কিছু নেই, আমি হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে যুদ্ধ করে টাকা পাইয়ে দেব।” এর মাধ্যমে তিনি একটি বৃহৎ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যাতে মৃতের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা সম্ভব হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণায় ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হলেও, শুভেন্দু অধিকারী ৫০ লক্ষ টাকার দাবি করছেন, যা রাজ্যের পক্ষ থেকে দেওয়ার জন্য তিনি জোর দাবি জানাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্যের পেছনে যুক্তি রয়েছে, কেননা তিনি স্যালাইন বিভ্রাটের ফলে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবির পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি মামনি রুইদাসের মৃত্যুর ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছেন। ডাক্তারদের গাফিলতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী একটি তত্ত্বও তুলে ধরেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হবে।
এছাড়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন এবং এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথাও বলেছেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী তার সঙ্গে একমত নন এবং তার মতে, রাজ্যকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, যা তিনি কোনোভাবেই কম নিতে চান না।
শুভেন্দু অধিকারী এ প্রসঙ্গে আরও প্রশ্ন তুলেছেন স্যালাইন বিভ্রাট নিয়ে। তিনি বলেন, “এই স্যালাইন কত হাজার লোককে দেওয়া হয়েছে? সংখ্যাটা লক্ষাধিক হবে। এই বিষ থেকে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারপর বলা হবে, সুগার কিংবা গ্লুকোমার কারণে সমস্যা হয়েছে।” তিনি স্যালাইন বিভ্রাটের ব্যাপারে গভীর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং আক্রান্তদের তালিকা প্রকাশের জন্য রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এভাবে, মমতার ঘোষণার পর শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন অঙ্গীকারের সৃষ্টি করেছে। তাঁর দাবি এবং প্রতিশ্রুতির মধ্যে যে রাজনৈতিক তীব্রতা রয়েছে, তা আগামী দিনে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে।