নাদাল যথাযথ সম্মান পাননি, আক্ষেপ জোকারের

দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বীকে যথোচিত বিদায় জানাতে পারেননি, আফসোস নোভাক জোকোভিচের। রাফায়েল নাদালের (Rafael Nadal) বিদায় আরও জমকালোভাবে হওয়া উচিত ছিল। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পর…

rafael nadal with Novak Djokovic

দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বীকে যথোচিত বিদায় জানাতে পারেননি, আফসোস নোভাক জোকোভিচের। রাফায়েল নাদালের (Rafael Nadal) বিদায় আরও জমকালোভাবে হওয়া উচিত ছিল। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পর রাফার সাদামাটা বিদায় নিয়ে এমনই আক্ষেপের সুর ঝরে পড়ল জকোভিচের গলায়।

গত বছর ডেভিস কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন হেরে যাওয়ার পর টেনিসকে পাকাপাকি ভাবে বিদায় জানিয়েছেন নাদাল। তাঁর অবসরের সম্ভাবনার কথা জানা ছিল আগে থেকে। তবু নাদালের মতো চ্যাম্পিয়ন টেনিস খেলোয়াড়ের বিদায়ের মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা হয়নি। ছোটখাটো অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। যা পছন্দ হয়নি জোকারের। অজি ওপেনের ফাঁকে রাফার অবসর নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি নাদালের অবসর গ্রহণের অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো দেখেছি। জানি না ঠিক কী হয়েছিল।

   

নাদালই হয়তো এমন কিছু চায়নি, যাতে অন্য খেলোয়াড়রা বা দল বিব্রত বোধ করে। বিষয়টা নিয়ে হয়তো খুব বেশি হইচই করতে চায়নি। তবে আমার একটু খারাপই লেগেছিল। সেই সময় ওর পাশে থাকতে পারলে ভালো লাগত। যাই হোক অনুষ্ঠানটা সঠিক ভাবে করা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কী ভাবে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল জানি না। তবে স্পেন ডেভিস কাপ সেমিফাইনাল পৌঁছতে না পারার পর সুন্দর একটা পরিকল্পনা করা যেতে পারত। আমার এবং অ্যান্ডি মারের সেই অনুষ্ঠানে থাকার ইচ্ছা ছিল। বলতে পারেন আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে নাদালের জন্য একটা সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। নিজেদের সূচির জন্য কোয়ার্টার ফাইনালের সময় যাওয়া সম্ভব ছিল না। তবে সেমিফাইনালের পর যেতেই পারতাম।’ নাদালের অবসরের মুহূর্ত বর্ণাঢ্য না হওয়া এবং সেই সময় বন্ধুর পাশে থাকতে না পারার আক্ষেপের কথা বলেছেন জকোভিচ। একই সঙ্গে নিজের লক্ষ্যের প্রতিও অবিচল তিনি।

এদিন, জোকার তৃতীয় রাউন্ডে উঠে ভেঙে দিয়েছেন রজার ফেডেরারের নজির। এতদিন পর্যন্ত গ্র্যান্ড স্ল্যামে সবচেয়ে বেশি ৪৩০টি জয়ের নজির ছিল ফেডেক্সের। পর্তুগালের হাইমে ফারিয়াকে ৬-১, ৬-৭, ৬-৩, ৬-২ সেটে হারিয়ে সেই নজির ভেঙেছেন জকোভিচ। তাঁর বক্তব্য, ‘২০ বছর ধরে গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলছি। গ্র্যান্ড স্ল্যামই আমাদের খেলার মূল স্তম্ভ। খেলাটার ইতিহাসে এর চেয়ে বড়ো কিছু নেই। ১৩০ বছর ধরে এই খেলাটা রয়েছে। এতদিন পর একটা নজির গড়তে পেরে তাই আমি ভাগ্যবান।’

অন্যদিকে, আলকারাজ ৬-০, ৬-১, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন জাপানের ইয়োশিহিতো নিশিয়োকাকে। জিততে সময় নিয়েছেন মাত্র ৮১ মিনিট। তবে জয়ের সময়ের চেয়েও বেশি নজর কেড়েছে তাঁর ‘এস’ সার্ভিস মারার দক্ষতা। ম্যাচে ১৪টি ‘এস’ মেরেছেন আলকারাজ। ‘এস’ সার্ভিস হল টেনিসের এমন একটি সার্ভিস যা প্রতিপক্ষ রিটার্ন করতে পারেন না। তাঁর আয়ত্তের বাইরে দিয়ে সেই সার্ভিস চলে যায়। ঘষেমেজে নিজের ‘এস’ সার্ভিস ক্ষুরধার করে তুলেছেন আলকারা‌জ। তার প্রমাণ মেলে বুধবারের ম্যাচে।

অন্যদিকে, মেয়েদের বিভাগে শীর্ষ বাছাই এরিনা সাবালেঙ্কা উঠেছেন তৃতীয় রাউন্ডে। ৬-৩, ৭-৫ হারিয়েছেন জেসিকা বুজাসকে। তৃতীয় বাছাই কোকো গফ ৬-৩, ৭-৫ হারিয়েছেন জোডি বারেজকে। পঞ্চম বাছাই কিনওয়েন ঝেং ৬-৭, ৩-৬ হেরেছেন লরা সিগমুন্ডের কাছে।