একনাগাড়ে অশান্ত মণিপুর । পরিস্থিতি যে এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তা এবার মেনে নিলেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী । সেনাপ্রধান দ্বিবেদী বলেছেন এখনও অশান্ত রয়েছে মণিপুর, পুরোপুরি কমেনি সংঘর্ঘের ঘটনা ।
গত দেড় বছর ধরে লাগাতার বিশৃঙ্খল মণিপুর । এই সংর্ঘের সূচনা হয় ২০২৩ সালের মে মাসের শুরুতে । মণিপুরের দুটি সম্প্রদায় মেইতেই এবং কুকির মধ্যে । তত্কালীন মণিপুর হাই কোর্ট একটি সুপারিশ জারি করে । সুপারিশটি ছিল মেইতেই সম্প্রদায়কে শিডিউল ট্রাইব (এসটি) স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে । যার ফলে একটি অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (এটিএসইউএম) একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে । এরপর থেকেই সেখানে সংঘর্ষ তুঙ্গে ওঠে । জারি হয় ৩৫৫ ধারা । বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিসেবা ও । প্রায় ৭০০০০ এর ও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয় । বেশ কিছু মানুষের প্রাণঘাতি হয় সংঘর্ষের ফলে । এরপরও কমবেশি ছোটখাটো কিছু সংর্ঘষের অভিযোগ উঠে আসে । পরিস্থিতি কিছুদিন আওতায় থাকলেও আচমকাই নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে সংর্ঘষের ঘটনা ।
তবে সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানান, ‘‘পরিস্থিতি মোটের উপরে শান্ত হলেও ঘুরে-ফিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই চলেছে।’’ তবে এই সংঘর্ষ আদিবাসী জাতিসত্তার সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে বলেই তিনি দাবি করেছেন । তাই পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার উপর জোড় দেওয়ার কথা উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন । ‘‘আশা করছি নতুন রাজ্যপাল (প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা)-পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করবেন।’’
সেনাপ্রধান উল্লেখ করেন মায়ানমারের অশান্ত পরিস্থিতি মণিপুরের অস্থিরতার কারণ হতে পারে । তাঁর কথায়, ‘‘মায়ানমার সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। ফলে বহু মানুষ প্রাণে বাঁচার তাগিদে মণিপুর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে চলেছে। এমনকি প্রতিবেশী দেশের সৈন্যরাও কখনও ঢুকে পড়ছে। অস্ত্র হাতে যাঁরা আসছেন তাঁদের অস্ত্র সমর্পণ করে দেশের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’’
অনেক গোয়েন্দারা মনে করেন , আশ্রয়ের ভিড়ের এমন ব্যক্তিরাও আছে যাদের লক্ষ্য মণিপুরে অবিরত অস্থিরতা বজায় রাখা। এইমুহুর্তে তাদের চিহ্নিত করাই প্রশাসনের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িযেছে ।