গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি সারা ফেলেছে গোটা বিশ্বে। বদল এসেছে সেই দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও। কারণ গত বছর ছাত্র আন্দোলন সূচনার পর থেকেই প্রভাব পড়তে শুরু করে ঢাকার রাজনীতিতেও। ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর তা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপর দেশের শাসন ভার নেয় সেই দেশের অর্ন্তবর্তী সরকার। সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সেই দেশের নোবেল বিজয়ী মহম্মদ ইউনুস। এরপর থেকেই ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিও। যার ফলে এর প্রভাব পড়তে শুরু করে দেশীয় বাজার থেকে আন্তর্জাতিক বাজারেও।
সমগ্র বিশ্ব দরবারে বস্ত্রবয়ন শিল্পের হাব হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ। বিভিন্ন দেশের বড় বড় কোম্পানি তাদের উত্পাদনের সুযোগ – সুবিধা বাস্তবায়ন করেছিল বাংলাদেশের হাত ধরেই। বিশ্বের ধনী দেশগুলি তথা আমেরিকা, ইউনাইটেড কিংডম, স্পেন, পোল্যান্ড, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইটালির মতো দেশ বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করেছে বহু লম্বা সময় ধরে। কিন্তু গত বছর সেই দেশে ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব পড়ে বাণিজ্য ক্ষেত্রেও। যার ফলে এক এক করে বিদেশি সংস্থা বিদায় নিতে শুরু করে বাংলদেশ থেকে। এহেন পরিস্থিতে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন ভবিষ্যতে আরও ধস নামতে পারে বাংলাদেশের বাজারে ।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব কেবলমাত্র আটকা পড়ে নেই বস্ত্র – বয়ন শিল্পে । গত বছরের অক্টোবর মাসের দেশের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকেছিল ১০.৮৭ শতাংশে এরই পাশাপাশি খাদ্যপন্যের মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছেছিল ১২.৬৬ শতাংশে । ফলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম একনাগারে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে । আবার অবিরত কমে চলেছ শেয়ার বাজেরের সূচকও।
বিনিয়োগকারীগের মাথায় পড়ছে হাত। প্রায় প্রতিনিয়ত কমছে লেনদেনের অংশ নেওয়া, পাশাপাশি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে অতিমাত্রায়। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পরিণতি আরও খারাপ এর দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা ।
এদিকে পণ্যের দাম থেকে শাক – সবজির দাম আকাশছোঁয়া। ফলে অতি সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। অন্যদিকে দেশের মৌলবাদ ক্রমশ্য মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ, যার ফলে অত্যাচারিত হচ্ছেন সেদেশের সংখ্যালঘুরাও।
তবে এই পরিস্থিতি অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও আগামি দিনে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিনোগ করতে চাইবে না বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদগণ ।