Bangladesh: অচল হওয়ার ভয়, ভারত থেকে ১১০০ কোটি টাকার ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ

জ্বালানি তেলের সংকট কাটাতে বাংলাদেশের (Bangladesh) ভরসা ভারত। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত ও তাঁর ভারতে আশ্রয় ঘিরে কূটনৈতিক সংঘাত আবহেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চলছে। (Bangladesh continues diesel…

Bangladesh continues diesel imports from India

জ্বালানি তেলের সংকট কাটাতে বাংলাদেশের (Bangladesh) ভরসা ভারত। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত ও তাঁর ভারতে আশ্রয় ঘিরে কূটনৈতিক সংঘাত আবহেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চলছে। (Bangladesh continues diesel imports from India)

ঢাকার সংবাদপত্র ‘সমকাল’ জানিয়েছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা চললেও বাণিজ্যিক স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে দুই দেশের মাঝে। দেশটি থেকে ডিজেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ।

   

১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ Bangladesh continues diesel imports from India

সম্প্রতি অনুমোদিত এক সিদ্ধান্তে ভারত থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। এতে খরচ হবে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) জানিয়েছে, পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল। এর ৮০ শতাংশ সরাসরি আমদানি করা হয়ে থাকে। আর বাকি অংশ স্থানীয় শোধনাগার থেকে পাওয়া যায়। বিপিসি নিয়মিতভাবে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই তেল ট্রেনে করে বাংলাদেশে আসছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে এই তেল বাণিজ্যের পরিসংখ্যান উল্লেখ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এই ডিজেল আমদানি করা হবে।

চাল আমদানির সিদ্ধান্ত Bangladesh continues diesel imports from India

বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বাংলাদেশে গতবছর (২০২৪) রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত চলেছে। হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে চলছে মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার। এই অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগ, প্রতিবেশি দেশের আশ্রয়ে থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছেন।