ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রে জঙ্গি পরেশ বড়ুয়ার সহযোগী বলে জেলে বন্দি বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে অভিযোগ থেকে খালাস করার নির্দেশ দিল আদালত। এই মামলায় ফাঁসির আসামী ছিল ভারতীয় জঙ্গি সংগঠন আলফা(স্বাধীনতা) গোষ্ঠীর প্রধান পরেশ বড়ুয়া। তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা আগেই কমানো হয়েছে। উল্লেখ্য বাংলাদেশে বিএনপি জামাত ইসলামি জোট সরকারের আমলে হয়েছিল এই ষড়যন্ত্র। (lutful jaman babar acquitted alfa terrorist paresh barua release soon)
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দশটি ট্রাক বোঝাই আগ্নেয়াস্ত্র গোপনে ভারতে পাচার হওয়ার আগেই ধরা পড়ে। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে পরেশ বড়ুয়া মায়ানমারে চলে যায়। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের অসমে একাধিক নাশকতা ও গণহত্যা চালানোয় অভিযুক্ত পরেশ বড়ুয়া বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ জঙ্গি নেতা।
বাংলাদেশে চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। এই নির্দেশের ফলে বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই।আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানু়য়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।
কী এই ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা?
বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার সরকারের অভ্যন্তরে সুকৌশলে সংযোগ স্থাপন করেছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফা। পরিকল্পনা মাফিক চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালানের সবুজ সংকেত আসে। ২০০৪ সালের ১লা এপ্রিল চালান হস্তান্তর হওয়ার আগেই পর্দা ফাঁস হয়। বন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা আটক করেন বহু পেটি। আগ্নেয়াস্ত্র বোঝাই সেই পেটিগুলি নিয়ে যেতে দশটি ট্রাক লেগেছিল। এই কারনে নাম দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা।
বিপুল পরিমাণ সেই চোরাই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুতফুজ্জামান বাবর। তবে কাউকেই ধরা যায়নি। প্রশ্ন উঠতে থাকে সরকারের ভূমিকা নিয়েই।
বিএনপি সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ আমলে এই মামলার তিন প্রধান আসামী পরেশ বড়ুয়া ওরফে কামারুজ্জামান, লুৎফুজ্জামান বাবর ও জামাত ইসলামির শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির আদেশ হয়। নিজামীর দেশদ্রোহের অন্য মামলায় ফাঁসি হয়।
ছদ্মবেশে পরেশ বড়ুয়া অস্ত্র ঢুকেছিল বাংলাদেশে
এই মামলায় বাংলাদেশের ৫ প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা ফাঁসির আসামী। তদন্তে উঠে আসে সরকারের অভ্যন্তর থেকে সেনাবাহিনীর ভিতরে চক্রান্তের জাল ছড়িয়েছিল আলফা। পলাতক পরেশ বড়ুয়া ওরফে কামারুজ্জামান ওরফে নুরুজ্জামানও। জানা গেছিল আলফা জঙ্গি প্রধান পরেশ বড়ুয়া অসমসহ ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যে হামলার জন্য বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে সেই চালান ধরা পড়ে যায়।