পিছিয়ে থেকে ওডিশা বধ, টেবিলের একধাপ উপরে কেরালা

পিছিয়ে থেকে কিভাবে জয় ছিনিয়ে নিতে হয় এবার সেটাই দেখিয়ে দিল কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters)। সপ্তাহের প্রথম দিন কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে নিজেদের হোম ম্যাচ…

Kerala Blasters Beat Odisha FC

পিছিয়ে থেকে কিভাবে জয় ছিনিয়ে নিতে হয় এবার সেটাই দেখিয়ে দিল কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters)। সপ্তাহের প্রথম দিন কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে নিজেদের হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল আদ্রিয়ান লুনার ফুটবল দল। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল সার্জিও লোবেরার ওডিশা এফসির সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময় শেষে ৩-২ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় সুনিশ্চিত করে ফেলে দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। এদিন কেরালা ব্লাস্টার্সের জার্সিতে গোল পান যথাক্রমে কোয়ামি পেপড়া, জেসুস জেমিনেজ স্যাঞ্চেজ এবং নোয়া সাদাউ।

অন্যদিকে ওডিশা এফসি‌ হয়ে গোল করে যান জেরি মাউহিমিংথাঙ্গা এবং ডরিয়েল্টন গোমেজ। এই জয়ের সুবাদে ১৬ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের অষ্টম স্থানে উঠে আসলো কেরালা ব্লাস্টার্স। কিন্তু এদিন পরাজিত হয়েও সপ্তম স্থান ধরে থাকল জগন্নাথের রাজ্যের ফুটবল ক্লাব। কেরালার সাথে সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে এক পয়েন্টে এগিয়ে দিয়াগো মাউরিসিওরা। এদিন কেরালা ব্লাস্টার্সের হোম ম্যাচ হলেও প্রথম থেকেই যথেষ্ট দাপট দেখিয়েছে সার্জিও লোবেরার ছেলেরা। শুরু থেকেই তাঁদের আক্রমণাত্মক মনোভাব যথেষ্ট চাপে ফেলে দিয়েছিল কেরালা দলকে।

   

যারফলে অনায়াসেই আসে গোল। ম্যাচের ৪ মিনিটের মধ্যেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জেরি মাউহিমিংথাঙ্গা। যেটা হয়তো আশা করতে পারেননি টমাস টচর্জরা। যারফলে সাময়িকভাবেই রক্ষণাত্মক মেজাজে খেলতে শুরু করেন ফুটবলাররা। এমন পরিস্থিতিতে ওডিশার তরফে ঘনঘন আক্রমণ সংগঠিত হতে থাকলেও ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন প্রীতম কোটাল থেকে শুরু করে হরমিপাম রুইভার মতো ফুটবলাররা। প্রথমার্ধের শেষে একটি গোলের ব্যবধানে নিয়ে এগিয়ে থাকে ওডিশা এফসি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে কেরালা ব্লাস্টার্স। ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে থাকেন কোরো সিং থেকে শুরু করে আদ্রিয়ান লুনারা।

তারপর ৬০ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ঘানাই ফুটবলার কোয়ামি পেপরা। এই গোলের পর থেকেই নিজেদের চেনা ছন্দে ধরা দিতে শুরু করে গোটা দল। তারপর ৭৩ মিনিটের মাথায় জেসুসের গোল আসতেই যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় আহমেদ জাহুরা। এক্ষেত্রে পাল্টা আক্রমণ করতে শুরু করেন ফুটবলাররা। কিন্তু সেই সুযোগ নিয়েই ওডিশার কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়ে যান মরোক্কান তারকা নোয়া সাদাউ।