আপনার Whatsapp মেসেজে সিআইএ নজরদারি! বিস্ফোরক জুকারবার্গ

বিস্ফোরক জুকারবার্গ। তিনি বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) মতো গোয়েন্দা সংস্থাগুলো Whatsapp বার্তা পড়তে পারে। মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ  এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ…

This WhatsApp Feature Will Consume Your Phone Storage: Turn It Off Immediately

short-samachar

বিস্ফোরক জুকারবার্গ। তিনি বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) মতো গোয়েন্দা সংস্থাগুলো Whatsapp বার্তা পড়তে পারে। মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ  এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। (Mark Zuckerberg says CIA can read WhatsApp messages)

   

জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স পডকাস্টে এমন তথ্য জানিয়েছেন ফেসবুকের এই প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ইঙ্গিত করেছেন সিআইএ বা অন্যান্য গোয়েন্দাসংস্থার কাছে ব্যবহারকারীর স্মার্টফোন বা অন্য কোনও ডিভাইস গেলে তারা সেই ডিভাইসের বার্তা বা তথ্যে সরাসরি অ্যাকসেস করতে পারে

যদিও বারবার দাবি করা হয় Whatsapp ।বার্তাগুলো সুরক্ষিত করার জন্য এনক্রিপশন ব্যবস্থা করা আছে। তার পরেও কীভাবে নজরদারি ঘটতে পারে প্রশ্নের জবাবে জুকারবার্গ বলেন, এনক্রিপশনের যে জিনিসটি সত্যিই ভালো তা হলো এটি এমনভাবে তৈরি যাতে পরিষেবাটি পরিচালনাকারী কোম্পানিও এটি দেখতে পায় না। তাই আপনি যদি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন তাহলে মেটা সার্ভারগুলো সেই বার্তার বিষয়বস্তু দেখতে পাবে না। কেউ যদি মেটার ডাটাবেস হ্যাক করে তবুও তারা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত টেক্সট অ্যাকসেস করতে পারবে না। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন এনক্রিপশন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে ডিভাইসে সংরক্ষিত বার্তাগুলি দেখা থেকে বিরত রাখে না। 

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টাকার কার্লসনের সাক্ষাৎকারের আয়োজনের চেষ্টা সম্পর্কে একটি প্রশ্নের প্রেক্ষাপটে এসব মন্তব্য করেছেন জুকারবার্গ। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে, তিন বছরের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে সফল হওয়ার কথা বলার সময় টাকার কার্লসন তার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষ, অর্থাৎ এনএসএ এবং সিআইএকে দায়ী করেছিলেন। 

কার্লসনের মতে, সংস্থাগুলো তার বার্তা এবং ইমেল ট্যাপ করে তার উপর গুপ্তচরবৃত্তি করেছিল। সেইসঙ্গে মিডিয়াতে তার উদ্দেশ্য ফাঁস করেছিল যায় মস্কোকে তার সঙ্গে কথা বলতে ভয় দেখিয়েছিল।  

সিআইএ গুপ্তচর সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহির্দেশীয় বিষয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করে। গোটা দুনিয়া জুড়ে সিআইএ তাদের জাল ছড়িয়ে রেখেছে। একাধিক দেশে সরকার পতন, অভ্যুত্থান ঘটানোয় অভিযুক্ত সিআইএ।