নয়াদিল্লি: ২০২৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে নিহত জঙ্গিদের ৬০ শতাংশই পাকিস্তানি৷ এমনটাই জানালেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন। (60 percent terrorists killed in J&K last year of Pakistani origin)
পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর 60 percent terrorists killed in J&K last year of Pakistani origin
সেনাপ্রধান বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে যে হিংসার বাতাবরণ রয়েছে, তা পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে৷ পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের আঁতুরঘর।” তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ১৫,০০০ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, যা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
সেনাপ্রধান জানান, “গত বছর ভূসর্গে যত জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছে, তার মধ্যে ৬০ শতাংশই পাকিস্তানি নাগরিক। বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে ৮০ শতাংশ পাকিস্তানি। আর এটা এমন একটা সময়, যখন আমরা সন্ত্রাসবাদ থেকে পর্যটনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি৷”
মণিপুরের হিংসা প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী এবং সরকার একযোগে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “হিংসার চক্র এখনও চলছে, তবে নিরাপত্তা বাহিনী যথাযথভাবে কাজ করছে এবং আমরা আশাবাদী পরিস্থিতি শীঘ্রই উন্নত হবে৷”
সেনাপ্রধান আরও জানান, মায়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হচ্ছে। সীমান্তে বেড়া নির্মাণও চলছে, যাতে প্রতিবেশী দেশ থেকে কোনও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি 60 percent terrorists killed in J&K last year of Pakistani origin
লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে সেনাপ্রধান বলেন, এটি “সংবেদনশীল কিন্তু স্থিতিশীল”। সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর জন্য ভারত ও চিনের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা চলছে। তিনি জানান, দুই পক্ষের মধ্যে দুটি পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চালু রয়েছে।
সেনাবাহিনীতে নতুন উন্নয়ন
সেনাবাহিনীতে নতুন কিছু পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান সেনাপ্রধান। তিনি জানান, প্রতিবছর সেনা অফিসারের নিয়োগ ১,৩০০ থেকে ১,৯০০ জনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালে সেনাবাহিনীতে একটি সব-নারী স্কাইডাইভিং দল গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সেনাপ্রধান আরও বলেন, সেনাবাহিনীর মধ্যে কর্মকর্তাদের ও জওয়ানদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য ‘সুবেদার মেজর’ পদ তৈরি করা হয়েছে। তিনি জানান, “আমাদের লক্ষ্য হল সর্বদা প্রস্তুত থাকার জন্য প্রতিটি দিককে শক্তিশালী করা।”