বাংলাদেশে (Bangladesh) গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভ দমনে গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ায় মামলায় শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) নামে মামলা চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে। তিনি বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রিত। বিবিসি জানিয়েছে, গণবিক্ষোভ দমনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ কয়েকটি কণ্ঠস্বরের ফরেনসিক তদন্ত হবে। (hasina trial international criminal tribunal)
গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড hasina trial international criminal tribunal
বিবিসির খবর গত বছর (২০২৪) জুলাই – অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড পাওয়া গেছে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। উল্লেখ্য গত ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি টানা তিন দফায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ডের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউটর এবিএম সুলতান মাহমুদ জানান, “শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য যাদের অডিও রেকর্ডগুলো ফাঁস হয়ে গেছে সেগুলোর অথেনটিকেসি প্রমাণ করার জন্য আমরা ট্রাইব্যুনালের অনুমতি চেয়েছিলাম। সিআইডিসহ যারা আছে সবার প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে”।
গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ বিচার hasina trial international criminal tribun
বাংলাদেশের এই ট্রাইব্যুনাল ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক আদালতেও যাতে এসব তথ্য প্রমাণ গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য অকাট্য করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানায় প্রসিকিউশন।
হাসিনার জমানা শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে চলছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে ঘোষনা করেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ বিচার হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে সরকারপক্ষের অভিযোগ, তথ্য প্রমাণ যোগাড় করতে তদন্তকারীরা যেসব সংস্থায় গিয়েছেন সেখানে অসহযোগিতাও করা হয়েছে। নথি প্রমাণ ছিল সেগুলো লুকিয়ে ফেলতে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গণবিক্ষোভ হয়েছিল রক্তাক্ত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার ভিডিওতে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল পুলিশ ও আধা সেনা। তাদের পাশাপাশি সশস্ত্র অসামরিক ব্যক্তিদের দেখা গেছিল তারা প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করছে।