আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেডগামী এবং শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা (Kolkata Metro) বন্ধ থাকবে। মেট্রো যাত্রীদের জন্য এটি একটি বড় অসুবিধার খবর, কারণ এই দুই রুটে প্রায় দেড় মাস মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকবে। রবিবার, মেট্রোরেল (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে এবং জানিয়েছে যে, এটি একাধিক কারণে প্রয়োজনীয় ছিল।
মেট্রোরেল (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ জানায়, বউবাজারে মেট্রোর কাজ শেষ হওয়ার পর, এখন হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ মেট্রো পরিষেবা (Kolkata Metro) চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে, এই পরিষেবা চালু করার জন্য পুরো সিগন্যাল ব্যবস্থা নতুন করে বদলাতে হবে। এই কাজটি করতে এক ফরাসি সংস্থা দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের মতে, এই কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় দেড় মাসের সময় লাগবে, আর তার জন্য দুটি রুটে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (Kolkata Metro) প্রকল্পের অন্তর্গত বউবাজার অংশের কাজটি নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। প্রকল্পের শুরু থেকেই বেশ কয়েকবার বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, কিন্তু এর পরও মেট্রো কর্তৃপক্ষ দ্রুত কাজ শেষ করতে সক্ষম হয়েছে। বউবাজার অংশের কাজ অসম্পূর্ণ থাকায়, গত বছর মার্চে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা (Kolkata Metro) শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে, সেই অসম্পূর্ণ কাজটি শেষ হওয়ায় এখন হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত সরাসরি মেট্রো পরিষেবা চালু করা যাবে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের (Kolkata Metro) তরফে জানানো হয়েছে যে, এই কাজটি শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে এবং এরপর যাত্রীরা আর কোনও সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। তবে, আপাতত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত এই রুটে মেট্রো (Kolkata Metro) চলাচল বন্ধ থাকবে। এতে মেট্রো যাত্রীদের অনেকটা অসুবিধা হবে, কিন্তু তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন যে, এটি একান্তই মেট্রো পরিষেবার মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আপাতত মেট্রো যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বাস, অটো বা অন্যান্য যানবাহনের ব্যবহার করতে হতে পারে। তবে, মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ সম্পন্ন করে পরিষেবা শুরু হবে। এই কাজের জন্য যাত্রীদের কিছুটা সময়ের জন্য কষ্ট হলেও, মেট্রোর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও উন্নত এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, মেট্রো যাত্রীদের জন্য তাৎক্ষণিক কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, যারা এই রুটে যাতায়াত করেন, তারা অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, মেট্রো কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়মিতভাবে জানিয়ে দেবে যাতে যাত্রীরা ভালোভাবে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করতে পারেন।
এমনকি, মেট্রো কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই এক মাসের কাজ শেষে নতুন সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হলে যাত্রীদের অভিজ্ঞতা আরও ভালো হবে এবং পরবর্তীতে যাত্রীরা দ্রুত এবং সুরক্ষিতভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।