15 থেকে 3 মিটার দূরত্বে দুটি স্যাটেলাইট, শীঘ্রই ডকিং প্রক্রিয়া করবে ইসরো

SpaDeX docking mission: ভারত খুব শীঘ্রই মহাকাশে নতুন রেকর্ড গড়বে। ISRO-এর SpaDeX স্যাটেলাইটগুলি একে অপরের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। এই দুটি স্যাটেলাইট প্রথমে 15 মিটার…

ISRO Spadex

SpaDeX docking mission: ভারত খুব শীঘ্রই মহাকাশে নতুন রেকর্ড গড়বে। ISRO-এর SpaDeX স্যাটেলাইটগুলি একে অপরের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। এই দুটি স্যাটেলাইট প্রথমে 15 মিটার দূরত্বে ছিল এবং তারপরে তাদের 3 মিটারের কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়। ডকিংয়ের প্রস্তুতি চলছে। উভয় স্যাটেলাইট SDX01 (চেজার) এবং SDX02 (টার্গেট) নিরাপদ দূরত্বে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এখন তথ্য বিশ্লেষণের পর ডকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। গতকাল অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যায় স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট (SPADEX) মিশনে জড়িত দুটি স্যাটেলাইটের মধ্যে দূরত্ব ছিল ২৩০ মিটার।

 

   

স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট মিশনের লক্ষ্য মহাকাশে ডকিং প্রযুক্তি প্রদর্শন করা, যা ভারতের ভবিষ্যতের মহাকাশ প্রচেষ্টার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই মিশন মহাকাশ স্টেশন এবং চন্দ্রযান-4 এর সাফল্য নির্ধারণ করবে। এই মিশনে একটি স্যাটেলাইট অন্য স্যাটেলাইটের সাথে ডক করবে। এর ফলে কক্ষপথে সার্ভিসিং এবং রিফুয়েলিং করাও সম্ভব হবে। 30 ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে PSLV-C60 রকেটের সাহায্যে ISRO সফলভাবে এই মিশনটি লঞ্চ করেছে।

ISRO এখন ডকিংয়ের জন্য ভারতীয় গ্রাউন্ড স্টেশনগুলি থেকে সংকেত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আগে এর তারিখ ছিল ৭ জানুয়ারি। কিন্তু কারিগরি সমস্যার কারণে তা ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা এই মিশনে দুটি ছোট উপগ্রহ রয়েছে। এর প্রতিটির ওজন প্রায় 220 কেজি। এই মিশনটি ইসরোর জন্য একটি বড় পরীক্ষা, কারণ ভবিষ্যতের মহাকাশ কর্মসূচি এই মিশনের উপর নির্ভর করে।

কেন এই মিশন চন্দ্রযান-৪ এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
এই মিশন সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ জগতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ISRO। এই মিশন ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন স্থাপন এবং চন্দ্রযান-৪-এর সাফল্যের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে। এর মাধ্যমে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হয়ে উঠেছে যেখানে স্পেস ডকিং প্রযুক্তি রয়েছে। চন্দ্রযান-৪ মিশনের সাফল্য নির্ভর করছে স্পেসএক্সের সাফল্যের ওপর।

এই ডকিং-আনডকিং কৌশলটি চন্দ্রযান-৪ মিশনে ব্যবহার করা হবে। এই মিশনের প্রযুক্তি নাসার মতো নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরিতে ব্যবহার করা হবে। এই প্রযুক্তি স্যাটেলাইট সার্ভিসিং, আন্তঃগ্রহ মিশন এবং চাঁদে মানুষকে পাঠানোর জন্যও প্রয়োজনীয়।