স্কুলের পোশাকে ‘শুভেচ্ছা বার্তা’ লিখে শাস্তি, ৮০ জন ছাত্রীকে জামা খুলিয়ে বাড়ি পাঠালেন প্রধান শিক্ষক!

ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের (principa) এক বেসরকারি স্কুলে দশম শ্রেণির পরীক্ষার শেষদিনে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে, যা এখন সারা রাজ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন পর একে…

Jharkhand Principal Sends 80 Girls Home Without Shirts for Writing on Them

ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের (principa) এক বেসরকারি স্কুলে দশম শ্রেণির পরীক্ষার শেষদিনে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে, যা এখন সারা রাজ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন পর একে অপরের সঙ্গে দেখা হবে না বলে, স্কুলের শিক্ষার্থীরা নিজেদের বন্ধুদের জামায় ‘শুভেচ্ছা বার্তা’ লিখে দিয়েছিল। কিন্তু এই উদ্যোগে অস্বাভাবিক কিছু ঘটল। অভিযোগ উঠেছে যে, ওই বার্তা লেখার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে জামা খুলিয়ে শুধুমাত্র ব্লেজার পরিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সারা ঝাড়খণ্ডে (principa) নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা বার্তা লেখাকে কেন এমন কঠোরভাবে শাস্তি দেওয়া হলো? এই ঘটনাকে নিয়ে সমাজে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। একদিকে, কিছু মানুষ এই শাস্তির প্রতিবাদ করছেন, অন্যদিকে, কিছু মানুষ আবার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সমর্থন করছেন।

   

স্কুলের (principa) এই পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে, স্থানীয় প্রশাসনও বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনাটি নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা এবং কর্তৃপক্ষের অধিকার—দ্বয়েই প্রশ্ন উঠছে।
শুক্রবার, ধানবাদের ওই বেসরকারি স্কুলে দশম শ্রেণির শেষ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার পরে, ছাত্রীরা একে অপরের শার্টে আবেগপ্রবণ হয়ে নানা শুভেচ্ছা বার্তা লিখে দিচ্ছিল। বন্ধুত্বের শিকড়ে আবেগের প্রকাশ, বিশেষত বিদায়ের দিন, এমন একটি সাধারণ এবং প্রথাগত ঘটনা। কিন্তু এই সাধারণ দৃশ্যই এক পর্যায়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নজরে পড়ে এবং সে সময় থেকেই গোল বেঁধে যায়।

প্রধান শিক্ষক পুরো বিষয়টির প্রতি আপত্তি জানান এবং ছাত্রদের শুরু করেন বকাঝকা। শিক্ষার্থীরা তার কাছে ক্ষমাও চায়, কিন্তু তাতে কিছুই লাভ হয়নি। তাদের সে সহানুভূতির প্রস্তাব গ্রহণ করেননি তিনি। বরং শাস্তির নামে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে জামা খুলিয়ে শুধুমাত্র ব্লেজার পরিয়ে বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ ঘটনা সামনে আসতেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের বিদায় বেলার আবেগ প্রকাশে এমন কঠোর শাস্তি কি ঠিক ছিল? প্রশ্ন উঠছে, যেখানে সাধারণত ছাত্রীরা নিজেদের বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাতে এমন কাজ করে, সেখানে এত বড় শাস্তি কেন?

এই ঘটনা এখন ধানবাদ শহরে এবং রাজ্যজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং শীঘ্রই প্রশাসন এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।