বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) এবং কংগ্রেসের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো আন্দোলনের পর, তেজস্বী যাদবের(Tejashwi Yadav) একটি মন্তব্য এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তেজস্বী যাদব সাংবাদিকদের সামনে এক মন্তব্যে বলেছেন, “ইন্ডিয়া ব্লক বা ইন্ডিয়া জোট শুধু লোকসভা নির্বাচনের জন্যই ছিল।”
এটি অনেকেই কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের মধ্যে জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন। যদিও তেজস্বী(Tejashwi Yadav) জানিয়েছেন, “বিহারে আমরা শুরু থেকেই একসঙ্গে আছি।” এরপরেও, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) মুখপাত্র মৃতুঞ্জয় তেওয়ারি মন্তব্য করেছেন, যে কংগ্রেস বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে প্রস্তুতি নিক। “কংগ্রেস ৭০টি আসনের লক্ষ্য ঠিক করে, তবে তাদের এখন ২৪৩টি আসনে মনোযোগ দেওয়া উচিত।”
এই মন্তব্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে। কংগ্রেসকে প্রাথমিকভাবে ৭০টি আসন দেওয়ার পর বিহারে যা ঘটেছে তা মনে করিয়ে দিয়ে, মৃতুঞ্জয় তেওয়ারি আরও বলেন, “কংগ্রেসকে তাদের বাস্তব অবস্থান বুঝতে হবে।”
এদিকে, কংগ্রেসের বিধায়ক দলের নেতা শাকিল আহমেদ খান তেও পাল্টা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “যদি কেউ কংগ্রেসকে অবমূল্যায়ন করে, তাহলে কংগ্রেস তাদের আরও হালকা দৃষ্টিতে নেবে।” কংগ্রেসের এই পাল্টা মন্তব্যে পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
এই রাজনৈতিক যুদ্ধের তীব্রতা শুধু রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিজেপির জোটে থাকা জনতা দল ইউনাইটেড (JDU)-এরও আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিহারের রাজনীতিতে এই পরিস্থিতি আরও নতুন ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
এটি স্পষ্ট যে, বিহারের রাজনীতিতে রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভূমিকা কী হবে এবং তা কি এককভাবে হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। এদিকে, বিজেপি এবং তাদের সহযোগী দলগুলি এই পরিস্থিতির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে এবং তারা এখন অপেক্ষা করছে, পরবর্তী পদক্ষেপে কে কী ভাবে পদক্ষেপ নেবে।
বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন আরও চাঞ্চল্যকর হয়ে উঠেছে এবং এই উত্তেজনার সমাধান কি হবে, তা ভবিষ্যতের উপরে নির্ভর করছে।