Bomb Threat: ২৩টি স্কুলে ভুয়ো বিস্ফোরণের হুমকি, শুরু পুলিশি তদন্ত

দিল্লিতে একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে, যেখানে এক ১২ শ্রেণির ছাত্র বোমা(Bomb Threat) ধমকি পাঠানোর জন্য আটক হয়েছে। জানা গেছে, ওই ছাত্র স্কুলের পরীক্ষা এড়িয়ে যাওয়ার…

Delhi Student Arrested for Sending Bomb Threat Emails to Schools

দিল্লিতে একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে, যেখানে এক ১২ শ্রেণির ছাত্র বোমা(Bomb Threat) ধমকি পাঠানোর জন্য আটক হয়েছে। জানা গেছে, ওই ছাত্র স্কুলের পরীক্ষা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে ২৩টি স্কুলে বোমা মেইল পাঠিয়েছিল। এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশ চূড়ান্ত সতর্কতায় ছিল, কারণ এক সপ্তাহ ধরে একের পর এক স্কুলে বোমা বিস্ফোরণের মেইল পাঠানো হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার, শুধু ১০টি স্কুলে বোম্ব ধমকি ইমেইল আসে, যা স্কুলগুলিতে আতঙ্ক এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।

পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, এই ছাত্র একাধিকবার বোমা ধমকি পাঠিয়েছে। তার মেইলগুলি একের পর এক বিভিন্ন স্কুলকে লক্ষ্য করে পাঠানো হয়েছে, তবে নিজের স্কুলে সে কখনো মেইল পাঠায়নি। একটি ঘটনায়, সে ২৩টি স্কুলকে একসঙ্গে একটি মেইল পাঠিয়েছিল, যাতে সন্দেহ তার দিকে না চলে যায়। এই ছাত্রের উদ্দেশ্য ছিল, পরীক্ষাগুলি বাতিল হয়ে যাবে এবং সে তার পড়াশোনা ও পরীক্ষার চাপ থেকে মুক্তি পাবে।

   

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রটি বিশ্বাস করেছিল যে, বোম্বের মেইল পাঠানো হলে স্কুলের পরীক্ষাগুলি বাতিল হয়ে যাবে এবং সে একাধিক স্কুলে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তার নিজস্ব স্কুলের পরীক্ষা এড়িয়ে যাবে। ধ্বংসাত্মক মেইলগুলিতে ভয়ঙ্কর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল, যাতে ঘটনা আরো বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় এবং সবার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

এখন পর্যন্ত পুলিশের তদন্ত চলছে, এবং তারা ওই ছাত্রের কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তদন্ত করছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, এই ঘটনার মাধ্যমে ছাত্রটির মানসিক অবস্থা ও পরীক্ষার প্রতি তার অবহেলা প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশ এখনও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

এছাড়া, প্রভাবিত স্কুলগুলির সাথে পুলিশের একটি দল মিলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে। তারা স্কুলগুলির নিরাপত্তা নিয়মাবলী পুনরায় পর্যালোচনা করছে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, শিক্ষাব্যবস্থায় নিরাপত্তা এবং ছাত্রদের মানসিক চাপের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। এই ধরনের অবিবেচক আচরণ ছাত্রদের মানসিক অবস্থার গভীর বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ঘটনার মাধ্যমে ছাত্রদের মধ্যে আরও দায়িত্বশীলতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।