Bangladesh: বাংলাদেশ সরকার 26টি লাইট ট্যাংক কেনার জন্য তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করছে। এই ট্যাঙ্কগুলিকে TULPAR বলা হয়। এটা তুরস্ক ও ইতালির প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ফল, কিন্তু এখানে প্রশ্ন জাগে যে বাংলাদেশের এই উন্নত ট্যাঙ্কের প্রয়োজন কেন? এই প্রস্তাবিত চুক্তি কি বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতাকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার জন্য করা হচ্ছে? নাকি এর পেছনে বাংলাদেশের উদ্দেশ্য ভারতকে সীমান্তে চোখ দেখানো!
প্রথমত, তুলপার লাইট ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ কেনার পরিকল্পনা করছে। তুলপার লাইট ট্যাঙ্কটি বাংলাদেশের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য এবং জটিল অবস্থার জন্য উপযোগী একটি বহুমুখী এবং অভিযোজনযোগ্য ডিজাইনের সাথে ইঞ্জিনিয়ার করা হয়েছে। এই ট্যাঙ্কগুলি বিশেষভাবে কার্যকরভাবে নরম, জলাভূমি এবং রুক্ষ ভূখণ্ডে কাজ করার জন্য পরিচিত, যা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জলাভূমি এবং বন্যাপ্রবণ এলাকায় সামরিক অভিযানের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হবে।
তুলপারের বিশেষত্ব কী কী জেনে নিন
তুলপারকে একটি অত্যন্ত গতিশীল এবং বহু স্তর বিশিষ্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। এর লাইটওয়েট কিন্তু মজবুত গঠন এটিকে কঠিন ভূখণ্ডে সহজে কাজ করতে সক্ষম করে। উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আধুনিক ফায়ারপাওয়ারের সাথে মিলিত এর গতিশীলতা এটিকে দক্ষতার সাথে বিভিন্ন ধরনের সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম করে তোলে। এই পরিস্থিতিতে কাজ করার জন্য তুলপারের সক্ষমতা এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি কৌশলগত প্রান্ত প্রদান করবে।
তুলপার লাইট ট্যাংক বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে..কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ কি ভারত ও মায়ানমারের সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি বাড়াতে চায়? এই অঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত ও স্পর্শকাতর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তে ট্যাংক কেনার উদ্দেশ্য ভারতের বিরুদ্ধেই প্রতীয়মান হয়, কিন্তু তাতে বাংলাদেশের ভয়ও প্রতিফলিত হয়, কারণ মায়ানমারের পরিস্থিতি যেভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে তা দেখে ঘটেছে, বাংলাদেশে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে।
বিশ্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর র্যা ঙ্কিং কত?
বিশ্বের মোট ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর র্যা ঙ্কিং ৩৭তম। বাংলাদেশের কোনও রিজার্ভ ফোর্স না থাকা সত্ত্বেও এর আধাসামরিক বাহিনী রয়েছে ৬৮ লাখ। সেনাবাহিনীতে 1.60 লক্ষ সেনা রয়েছে এবং বায়ু সেনাতে 17,400 সেনা রয়েছে। নৌবাহিনীতে 25,100 সেনা মোতায়েন রয়েছে।
জেনে নিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তি
ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সেনাবাহিনী বলে মনে করা হয়। এতে রয়েছে 4,614টি ট্যাংক, 1,00,882টি সাঁজোয়া যান, 100টি স্ব-চালিত কামান, 3,311টি হালকা কামান, প্রায় 1,500টি রকেট আর্টিলারি, অগ্নি সিরিজ এবং পৃথ্বী সিরিজের ব্যালিস্টিক মিসাইল, আকাশ মিসাইল, ব্রহ্মোস মিসাইল, রুদ্রম মিসাইল, অ্যাস্ট্রা মিসাইল, বিভিন্ন ধরনের বিমান বিধ্বংসী বন্দুক, আধুনিক পিস্তল, ইনসাস রাইফেল, অ্যাসল্ট রাইফেল, এখানে রয়েছে স্নাইপার রাইফেল, মাউজার, মেশিনগান, সিগসর রাইফেল, এভিয়েশন সাপোর্ট, ট্রান্সপোর্ট, ফাইটার, মাল্টি-রোল হেলিকপ্টার ইত্যাদি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচুর সংখ্যক সাঁজোয়া যান রয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে 14 লাখেরও বেশি সক্রিয় কর্মী রয়েছে।