অস্কার ব্রুজনের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জয়ের মুখ দেখছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। এএফসির টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের পর দেশের প্রথম ডিভিশন লিগ তথা আইএসএলে ও ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জয় করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। বলতে গেলে এই নয়া স্প্যানিশ কোচের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল ময়দানের এই প্রধান দল। কিন্তু খারাপ সময় যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলের। গত কয়েক ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের কিছুটা উপরে উঠে আসার হাতছানি থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত করতে পারেনি হিজাজি মাহের’রা। আসলে চোটের সমস্যা এবার যথেষ্ট ভোগাচ্ছে গোটা দলকে।
ফরাসি মিডফিল্ডার মাদিহ তালাল এসিএল ইনজুরি পেয়েছেন গত ওডিশা ম্যাচে। চলতি মরসুমে আর খেলতে পারবেন না তিনি। পাশাপাশি চোট রয়েছে দলের আরেক বিদেশি ফুটবলার সাউল ক্রেসপোর। যারফলে গত বছরের শেষের দিকেই ফিরে গিয়েছিলেন নিজের দেশে। স্পেনে নিজের চিকিৎসা চালিয়ে বর্তমানে ভারতে চলে এসেছেন ক্রেসপো। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি এই মিডফিল্ডার। যারফলে আগামী ডার্বি ম্যাচে হয়তো তাঁকে মাঠে পাবেনা মশাল ব্রিগেড। যা নিঃসন্দেহে অনেকটাই চাপে রাখবে অস্কার ব্রুজনকে। এক্ষেত্রে দলের গুরু দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে ভারতীয় তারকা জিকসন সিংকে।
তবে শুধুমাত্র বিদেশি ফুটবলার নয়। গত কয়েক ম্যাচেই চোটের কবলে পড়তে হয়েছে প্রভাত লাকরা থেকে শুরু করে মহম্মদ রাওকিপের মতো ফুটবলারদের। এমনকি গত মুম্বাই ম্যাচের পর হুইলচেয়ারে বসেই স্টেডিয়াম ছাড়তে হয়েছিল ভারতীয় সেন্টার ব্যাক আনোয়ার আলিকে। এককথায় যা বিরাট ধাক্কা ছিল সমর্থকদের কাছে। তাঁর চোট যে খুব একটা গুরুতর নয় পরবর্তীতে সেটা জানিয়ে দিয়েছিলেন লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তবে ম্যাচফিট হতে দুই একদিন যে বিশ্রাম দরকার সেই কথা ও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যারফলে সব ঠিকঠাক থাকলে ডার্বি ম্যাচ খেলতে হয়তো খুব একটা সমস্যা হবে না আনোয়ারের।
যারফলে এদিনের অনুশীলনে পায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় দেখা গিয়েছিল জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডারকে। দলের সঙ্গে যোগদান করলেও পুরো দমে অনুশীলন করেননি আনোয়ার। একই পরিস্থিতি প্রভাত লাকরা এবং মোহাম্মদ রাকিপের। স্বাভাবিকভাবেই টিম হার্ডলে উপস্থিত থাকলেও দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি তিনজনের কেউ। এই পরিস্থিতিতে ডার্বি ম্যাচের শুরু থেকে আদৌ তাঁদের রাখা হবে কিনা সেই নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।