৮ই জানুয়ারি, আইলিগ ২০২৪-২৫ (I League 2024-25) মরসুমের এক রোমাঞ্চকর ম্যাচে নামধারি এফসি (Namdhari FC) চমকপ্রদভাবে লিগ শীর্ষে থাকা চার্চিল ব্রাদার্সকে (Churchill Brothers) ১-০ গোলে পরাজিত করেছে। লিগ টপার চার্চিলের জন্য ছিল এটি মরসুমের দ্বিতীয় পরাজয়। যার মধ্যে লিগ শীর্ষে নিজদের অবস্থান দৃঢ় করা থেকে বেশ কিছুটা বেগ দিয়েছে বলেই জানান সমর্থকরা। যদিও তারা এখনও সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে, নামধারি তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে, সাত ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে।
আসন্ন বিশ্বকাপেই ইতি! জানালেন ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা
ম্যাচের প্রথমার্ধে, চার্চিল ব্রাদার্স প্রচুর আক্রমণ শানালেও তারা গোলের জন্য যথেষ্ট কার্যকরী হতে পারেনি। শুরুতে কিছু সুযোগ পেয়েছিল নামধারি, তবে চার্চিলের গোলকিপার সায়াদ বিন আবদুল কাজির দুরন্ত সেভে তারা গোল পেতে পারেনি। এর পর চার্চিল ব্রাদার্স আক্রমণ চালাতে থাকে, তবে শেষ মুহূর্তে ভাগ্যের সহায়তায় নামধারি গোল পায়।
ডার্বির আগেই কলকাতায় লাল-হলুদের বিদেশি ফুটবলার, নেমে পড়লেন অনুশীলনে
ম্যাচের ৪৫ মিনিটে একটি কর্নারের পর, নামধারি ফ্রি-কিক দিয়ে গোলটি করে। সেই ফ্রি-কিকটি সোজাসুজি লামিনে মোরোর পায়ে পৌঁছায়, যিনি দুই নামধারি খেলোয়াড় দ্বারা ঘেরাও হওয়া সত্ত্বেও বলটি অদ্ভুতভাবে গায়ে মাইবাম ডেনি সিং-এর পায়ে লেগে নিজের জালে ঢুকে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে, চার্চিল ব্রাদার্স তাদের আক্রমণকে আরও তীব্র করে, তবে শেষ পর্যন্ত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। নামধারি তাদের শক্তিশালী মিডফিল্ড দিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করছিল এবং প্রয়োজনীয় সময়ে কৌশলগত ফাউল করে খেলার গতি বন্ধ করছিল। ম্যাচের শেষ সময়ে, চার্চিল ব্রাদার্স আক্রমণভাগ একটি দারুণ সুযোগ পায়, যখন রামা গাঁওকার বলটি চেস্ট করে নিখুঁতভাবে ভলি মারেন, কিন্তু তা কিছুটা বাইরে চলে যায়।
সন্তোষ জয়ের পর ফের নয়া মুকুট বাংলার ফুটবলে, টক্কর ইস্টবেঙ্গলকে
এছাড়া, নামধারি খুবই ধৈর্যশীলভাবে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রেখে ম্যাচটি জয়ী করে এবং তিনটি মূল্যবান পয়েন্ট অর্জন করে। তাদের এই জয়ের মাধ্যমে, তারা পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে, যা তাদের জন্য একটি বড় সাফল্য এবং আত্মবিশ্বাসের উৎস।
ইস্টবেঙ্গলের ছোঁয়াচে রোগ? ডার্বির ৭২ ঘন্টা আগে ধাক্কা বাগান শিবিরে
চার্চিল ব্রাদার্সের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা, কারণ তারা শীর্ষে থাকলেও, এই হারের ফলে তাদের সুযোগ হ্রাস পেয়েছে শীর্ষস্থান ধরে রাখার। নামধারি এফসি, যারা মরসুমের শুরুতে ভালো ফলাফল পায়নি, এখন তাদের ধারাবাহিকতা এবং খেলার মানে উন্নতি করে নিজেদের শক্তিশালী দল হিসেবে প্রমাণ করেছে। এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং অপ্রত্যাশিত ফলাফল ছিল, যা আই লিগে এক নতুন চমক নিয়ে এসেছে।