দিশেহারা ইস্টবেঙ্গল, প্রথমার্ধের শেষে দুই গোলে এগিয়ে মুম্বাই

গত হায়দরাবাদ ম্যাচে এগিয়ে থেকে ও আসেনি জয়। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal)। সেই হতাশা কাটিয়ে জয়ের সরণিতে…

East Bengal Struggles as Mumbai City FC

গত হায়দরাবাদ ম্যাচে এগিয়ে থেকে ও আসেনি জয়। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal)। সেই হতাশা কাটিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরতে বদ্ধপরিকর ময়দানের এই প্রধান। সেই অনুযায়ী আজ সন্ধ্যায় সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পরবর্তী হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হচ্ছে শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির সঙ্গে। ঘরের মাঠে হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জয় পাওয়া যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানেন অস্কার ব্রুজন‌‌‌। তবে সেইসব বিষয়কে খুব একটা গুরুত্ব না দিয়ে লড়াই করাই একমাত্র লক্ষ্য ছিল স্প্যানিশ কোচের।

সেইমতো যথেষ্ট সাবধানী মনোভাব নিয়েই লড়াই শুরু করেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ বজায় থাকেনি। সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে পেট্র ক্র্যাটকির ছেলেরা। তাঁদের ঘনঘন আক্রমণ সামাল দিতে গিয়ে কার্যত দিশেহারা পরিস্থিতি দেখা দেয় মশাল ব্রিগেডের। যারফলে অনায়াসেই গোল তুলে নিতে শুরু করে গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের তৃতীয় কোয়ার্টারের মাঝামাঝি সময় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ভারতীয় তারকা লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মুম্বাই সিটি।

   

তবে সেখানেই শেষ নয়। প্রথম গোলের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার কিছু সময়ের মধ্যেই ফের চলে আসে গোল। ৪৩ মিনিটের মাথায় মুম্বাই শিবিরের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে যান নিকোলাওস কারেলিস। প্রথমার্ধের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানেই এগিয়ে থাকে টুর্নামেন্টের এই শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম থেকেই আক্রমণের গতি বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। সময় এগোনোর সাথে সাথেই ম্যাচে ফিরে আসা অনেকটাই কঠিন হয়ে উঠছে তাঁদের কাছে।

কিন্তু তবুও হার মানতে নারাজ ক্লেটন সিলভারা। তবে প্রতিপক্ষের দলের বিরুদ্ধে ফিরে আসা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা বলাই চলে। এখনও পর্যন্ত প্রায় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে ষাট মিনিটে। তবে এখনও গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি মশাল ব্রিগেডের পক্ষে।