প্রথম দিনেই কলকাতার বাজারে সস্তা হল সোনা!

বিশ্বের বাজারে সোনার দাম (Gold and silver price) ওঠানামা এবং আন্তর্জাতিক ধাতু বাজারের প্রভাবের কারণে সোনার দাম উঠানামা করে থাকে। তবে, দাম যখন একেবারে চড়চড়…

Gold Price Today: 22-Carat Gold Rates in Top Cities on February 11

বিশ্বের বাজারে সোনার দাম (Gold and silver price) ওঠানামা এবং আন্তর্জাতিক ধাতু বাজারের প্রভাবের কারণে সোনার দাম উঠানামা করে থাকে। তবে, দাম যখন একেবারে চড়চড় করে বৃদ্ধি পায়, তখন তা সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় বাজারে বিরাট প্রভাব ফেলে। যেমন, গত বছরের দুর্গাপুজো এবং দিওয়ালির সময় সোনার দাম (Gold and silver price) অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেয় বাজারের পরিস্থিতি। এর ফলে অনেকেই সোনার দাম (Gold and silver price) দেখে সোনার দোকানে যেতেও সাহস পাননি। অনেকের মতে, সোনার দাম (Gold and silver price)  বৃদ্ধি পেলে তাদের কেনাকাটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। তবে, নতুন বছরের শুরুতে পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা।

দাম ওঠানামার প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও তা এখন এক সীমিত দামের মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে থেকেই এই পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। ফলস্বরূপ, স্থানীয় বাজারে একটি স্বস্তির অনুভূতি দেখা যাচ্ছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে আশার আলো এনে দিয়েছে। কলকাতার বাজারে গত শনিবারের তুলনায় সোমবার সোনার দাম (Gold and silver price)  প্রতি ১০ গ্রাম ২০০ টাকা কমেছে, যা স্থানীয় বাজারে সোনার দাম সম্পর্কে একটি ইতিবাচক সংকেত দেয়। তবে, রুপোর দাম (Gold and silver price) কিছুটা বেড়েছে, যা নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে দ্বিধা তৈরি হয়েছে।

   

কলকাতার সোনার বাজারে সোমবারের দাম:(Gold and silver price)

  • পাকা সোনা বার (২৪ ক্যারাট): ৭৭,৩০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে
  • পাকা সোনা বার (খুচরো): ৭৭,৭০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে
  • হলমার্কযুক্ত সোনা (২২ ক্যারাট): ৭৩,৮০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে
  • রুপো (খুচরো): ৮৮,৩০০ টাকা প্রতি কেজি

তবে, সোনার দাম (Gold and silver price) দেখে যে পরিমাণে সোনা কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন, সে বিষয়ে কিছু তথ্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোনার বাজারে দাম পড়া বা বাড়া চলতে থাকলেও, এই দাম শুধু সোনার মূল্য দেখায়। এর সঙ্গে যোগ করা হয় জিএসটি এবং মেকিং চার্জ। জিএসটি সাধারণত ৩ শতাংশ থাকে, তবে মেকিং চার্জ ভিন্ন বিপণনের মধ্যে আলাদা হতে পারে। ফলে, একদম দাম (Gold and silver price) যখন জানা যায়, তখন এই অতিরিক্ত খরচগুলোর হিসাবও করতে হবে।

এখনকার পরিস্থিতিতে সোনা কেনার জন্য বিশেষ সুবিধা আছে, কারণ মূল্য কিছুটা কমেছে, তবে তা কোন একক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। সোনার দামের ওঠানামা বিবেচনা করে ক্রেতারা তাদের কেনাকাটার পরিকল্পনা করতে পারেন। সাধারণত, যখন সোনার দাম কম থাকে, তখন কেনাকাটা করা লাভজনক হতে পারে। তবে, সেই দামের সঙ্গে অতিরিক্ত খরচ যোগ হওয়ায়, ক্রেতাদের জন্য তা কখনো কখনো বিশাল অঙ্কে পৌঁছাতে পারে।

আসলে সোনার দাম যখন বেশিরভাগ সময় বিশ্ব বাজারের দামের উপর নির্ভরশীল, তখন তার প্রভাব একেবারে স্থানীয় বাজারে পড়ে। নতুন বছরের শুরুতেই সোনার বাজারে যেহেতু স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে, তা ক্রেতাদের মধ্যে একটি আশার সংকেত হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এটি এমন সময়ে এসেছে, যখন বেশ কিছু দিন ধরে সোনার দাম আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছিল, বিশেষত উৎসবের মৌসুমে।

এর পাশাপাশি, রুপোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভবিষ্যতে সোনার বাজারে সামান্য প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত স্থানীয় বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমায় ক্রেতাদের মধ্যে সোনার প্রতি আগ্রহ বাড়বে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।