হিন্দু সংহতির বার্ষিক প্রতিনিধি সম্মেলন (Hindu Sanghati Conference) রবিবার অনুষ্ঠিত হল কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি অডিটোরিয়াম হলে। সম্মেলনটি বিভিন্ন দিক থেকে স্মরণীয় হয়ে রইল। উপস্থিত ছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত নেতা শ্রী সুশীল পণ্ডিত, যিনি মূল বক্তব্য প্রদান করেন।
তপন ঘোষ স্মৃতি পুরস্কার চালু
এই বছর থেকে হিন্দু সংহতির প্রতিষ্ঠাতা তপন ঘোষের স্মৃতিতে “তপন ঘোষ স্মৃতি পুরস্কার” প্রদান শুরু করা হয়েছে। এটি সংগঠনের সেরা সংগঠককে দেওয়া হবে। ২০২৪ সালের এই বিশেষ সম্মান পেয়েছেন সংগঠনের সহ-সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। বাসন্তীর বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল তার সংগঠনের কাজ এবং নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টার জন্য এই পুরস্কার অর্জন করেন।
প্রধান অতিথি শ্রী সুশীল পণ্ডিতের বক্তব্য
কাশ্মীরি পণ্ডিত নেতা এবং বিশিষ্ট চিন্তাবিদ শ্রী সুশীল পণ্ডিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এবং হিন্দু সমাজের একতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “হিন্দু সমাজের মধ্যে ঐক্য ও শক্তি থাকলে আমরা যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে পারি।”
রেকর্ড সংখ্যক উপস্থিতি
ন্যাশনাল লাইব্রেরির অডিটোরিয়াম হলে মোট ৫৪০টি আসন রয়েছে। হিন্দু সংহতির নেতা রজত রায় জানান, ৫৫০ জনের রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি, মোট ৬৭৩ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিতির এই সংখ্যা সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ এবং গর্ব সৃষ্টি করেছে।
অতিরিক্ত আয়োজন
অতিরিক্ত উপস্থিতি সামাল দিতে আরও ২৫ কেজি চাল রান্না করতে হয়। খাবারের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, সবজি এবং আলু ভাজা। অনেক কর্মী বিকেল ৪টার পরে খেতে বসেন। রজত রায় জানান, “যদিও খাওয়া দেরিতে হয়েছে, তবে উপস্থিতি এবং সফলতার আনন্দ আমাদের সবার ক্লান্তি দূর করে দিয়েছে।”
সংগঠনের লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এই সম্মেলনে সংগঠনের ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। হিন্দু সংহতির নেতা এবং কার্যকর্তারা হিন্দু সমাজের কল্যাণে এবং তাদের অধিকারের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
হিন্দু সংহতির বার্ষিক প্রতিনিধি সম্মেলন তাদের শক্তি ও সম্প্রসারণের একটি চিহ্ন রেখে গেল। রেকর্ড সংখ্যক কার্যকর্তার উপস্থিতি এবং তপন ঘোষ স্মৃতি পুরস্কার চালু হওয়া, উভয়ই সংগঠনের জন্য একটি মাইলফলক। এই ধরনের উদ্যোগ হিন্দু সমাজে একতা এবং উন্নয়নের বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে।