ফের বন্ধ মা ফ্লাইওভারের একাংশ, সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা

কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত ফ্লাইওভার, মা ফ্লাইওভার (Maa Flyover) এক নতুন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। শহরের যানজট নিরসনে এই ফ্লাইওভার (Maa Flyover) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবে…

Road Repair Work to Continue from 10 PM to 6 AM, Part of Maa Flyover in Kolkata to Remain Closed"

কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত ফ্লাইওভার, মা ফ্লাইওভার (Maa Flyover) এক নতুন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। শহরের যানজট নিরসনে এই ফ্লাইওভার (Maa Flyover) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবে বর্তমানে কিছুদিনের জন্য ফ্লাইওভারের একাংশ বন্ধ রাখা হচ্ছে। ২০২৪ সালের শুরুতে এক বিবৃতিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, রাতে ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মা ফ্লাইওভারের (Maa Flyover) একাংশ বন্ধ থাকবে। এই বন্ধের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে রাস্তা সারাইয়ের কাজ, যা চলতে থাকবে।

এটা এমন একটি ফ্লাইওভার, (Maa Flyover) যেখান দিয়ে শহরের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চল মধ্যে দ্রুত চলাচল করা সম্ভব। বিশেষত চিংড়িহাটা থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাওয়ার রাস্তা, যেখানে মা ফ্লাইওভারে (Maa Flyover) ওঠার এক বিশেষ রাস্তাও রয়েছে, সেটি সারাইয়ের কাজের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সেই পথ ব্যবহার করা যাবে না। এই সময়ে গাড়ি চালকদের জন্য ঘুরপথ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সায়েন্স সিটি হয়ে ৪ নম্বর ব্রিজ হয়ে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টে পৌঁছানো যাবে।

   

এমন পরিস্থিতি নতুন নয়। কিছুদিন আগেই, মা ফ্লাইওভারের (Maa Flyover) ওপর বাইক চলাচলের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ বছরের শুরুতেই মা ফ্লাইওভারে(Maa Flyover)  রাত ১০টার পর বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। তবে, এই নতুন সিদ্ধান্তের সাথে যুক্ত ছিল একটি শর্ত, তা হল—বাইকের স্পিড যদি নির্দিষ্ট গতির বাইরে চলে যায়, তবে জরিমানা দিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত ছিল একটি বড় পরিবর্তন, যা মা ফ্লাইওভারের (Maa Flyover) ওপর যান চলাচলের নিয়মকানুনে নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা ফ্লাইওভার (Maa Flyover) নিয়ে একাধিক বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কয়েক দিন আগে তিনি জানিয়েছিলেন, “মা ফ্লাইওভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সন্ধ্যার পর। পুলিশের একটাই কাজ বন্ধ করে দেওয়া।” তাঁর এই বক্তব্যের পর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চলে এসেছিল নতুন নির্দেশিকা।

এই সব পরিবর্তন এবং সারাইয়ের কাজের ফলে শহরের যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্নিত হবে তা বলাই যায়। তবে, কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বার বার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে যেন মানুষের সমস্যা কমানো যায়। এই সকল পরিবর্তন এক সময়ের জন্য হয়তো শহরের যানজটের বিষয়টি আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদী সুফল মিলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এছাড়া, যেহেতু সারাইয়ের কাজটি গুরুত্বপূর্ণ, তাই জনগণকে শৃঙ্খলা বজায় রেখে ঘুরপথে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে শহরের সাধারণ নাগরিকদের সহানুভূতির আশা করা হচ্ছে, যাতে কাজটি দ্রুত এবং নিরাপদে সম্পন্ন করা যায়