অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের (Australia Cricket Team) অধিনায়ক (Captain) প্যাট কামিন্স (Pat Cummins) তাঁর ক্যারিয়ারের একটি নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছেন। বর্ডার-গাভাকার ট্রফির (Border Gavskar Trophy) ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) টেস্ট সিরিজের পঞ্চম টেস্টে এক অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে কামিন্স আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলকে (Scripts History) পৌঁছেছেন।
একী কান্ড! ২০২৪ সালে ভারতীয় ফুটবলে সেরা পাঁচ বিতর্কে নাম রয়েছে কলকাতার তিন প্রধানের?
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ম্যাচ চলাকালীন কামিন্সেরদাপট ছিল অবিস্মরণীয়। ভারতীয় শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে কামিন্স, কিন্তু তাঁর মূল শিকার ছিলেন ভারতের ব্যাটিং লাইন আপের শেষের দিকের ব্যাট্সম্যানরা । প্রথম ইনিংসে ওয়াশিংটন সুন্দর এবং জসপ্রীত বুমরাহকে আউট করে ১৫.২ ওভারে ২টি উইকেট নিয়ে ৩৭ রান দেন তিনি। এর মাধ্যমে কামিন্স তাঁর ক্যারিয়ারের ৫০০তম আন্তর্জাতিক উইকেট অর্জন করেন।
কামিন্সের ৫০০ উইকেটের মাইলফলক অর্জন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে এক বিরাট অর্জ। কারণ তিনি সপ্তম অস্ট্রেলিয়ান বোলার হিসেবে এই দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত এই কীর্তি অর্জনকারী অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মধ্যে রয়েছে শেন ওয়ার্ন (৯৯৯ উইকেট), গ্লেন ম্যাকগ্রাথ (৯৪৮ উইকেট), ব্রেট লি (৭১৮ উইকেট), মিচেল স্টার্ক (৬৯৯ উইকেট), মিচেল জনসন (৫৯০ উইকেট) এবং নাথান লায়ন (৫৬৯ উইকেট)।
কলকাতা ডার্বির আগে বাগান-শুভাশীষ চুক্তির নয়া তথ্য ফাঁস
কামিন্স বর্তমানে ৫০০ আন্তর্জাতিক উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন এবং তিনি ২১৪টি ম্যাচ খেলে এই অভিজ্ঞান অর্জন করেছেন। তাঁর বোলিং গড় ২৪.৪৫ এবং ইকোনমি রেট ৩.৭৬। এই গড়টি গ্লেন ম্যাকগ্রাথের পরে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো, যিনি নিজের ৯৪৮ উইকেটের জন্য গড় রেখেছিলেন ২১.৭৫।
কামিন্সের বোলিং পরিসংখ্যান বেশ চিত্তাকর্ষক। দীর্ঘতম ফরম্যাট টেস্টে তাঁর ৬৬টি ম্যাচে ২৮৯ উইকেট রয়েছে, যার গড় ২২.৫৪। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (ODI) তিনি ৯০টি ম্যাচে ১৪৩ উইকেট পেয়েছেন, যার গড় ২৮.৭৮। আর টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (T20I) কামিন্সের ৫৭টি ম্যাচে ৬৬ উইকেট রয়েছে, গড় ২৩.৫৭ এবং স্ট্রাইক রেট ১৯.০।
লাল-হলুদ জার্সিতে খেলবেন সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের এই সদস্য!
বর্তমানে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে কামিন্সের পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য। তিনি এই সিরিজে এখন পর্যন্ত ২২টি উইকেট নিয়েছেন, যা সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট অর্জনকারী বোলার। শীর্ষে অবস্থান করছেন ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরাহ, যিনি ৫টি টেস্টে ৩১টি উইকেট নিয়েছেন এবং গড় ১২.৬৫।
নর্থইস্টের বিরুদ্ধে ড্র করে এই বিষয়ে ভাবাচ্ছে চেরনিশভকে
এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে প্যাট কামিন্স তাঁর কেরিয়ারে শুধুমাত্র একটি সফল অধিনায়ক হিসেবে নয়, বরং অসাধারণ একটি বোলার হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই সাফল্য শুধু অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের জন্য নয়, বরং বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যও একটি গর্বের বিষয়। প্যাট কামিন্সের এই অর্জন তার অসীম পরিশ্রম, ধৈর্য, এবং বোলিং দক্ষতার ফলস্বরূপ। তাঁকে শুভেচ্ছা এবং সমর্থন জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বিশ্বও তার এই সাফল্যে উল্লাসিত।