কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Truedue) নতুন বছরে আরও একটি গুরুতর সঙ্কটে পড়েছেন। তাঁর এককালের মিত্র, নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (NDP) নেতা জগমিত সিংহ বুধবার সরাসরি ঘোষণা করেছেন যে, তিনি ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে কানাডার পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন। এই ঘোষণা কানাডার রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এর আগে, কানাডার পার্লামেন্টে ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিরোধী দল অভিযোগ তুলেছে এবং সরকার বিরোধী মনোভাব বাড়ছে।
নীতীশের জন্য দরজা খোলা, লালুর মন্তব্যে কী বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী?
জগমিত সিংহের এই পদক্ষেপে কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। বিশেষ করে, লিবারেল পার্টির মধ্যেই ট্রুডোর বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রবল হয়ে উঠেছে। কেবেকের এমপি-রাও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তাঁরা ট্রুডোর পদত্যাগ চান। এই পরিস্থিতি এমন একটি পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে, যেখানে ট্রুডো সরকারের উপর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, কেবেকের এমপি-রা ট্রুডোর বিরুদ্ধে একদিকে যেমন ক্ষুব্ধ, তেমনি তারা সরকারের বিভিন্ন নীতির প্রতি তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে, যদি জগমিত সিংহের প্রস্তাব বিরোধীরা সমর্থন করেন, তবে কানাডায় “স্ন্যাপ ইলেকশন” (নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচন) হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে, এটি একটি সংকটজনক মুহূর্ত হতে পারে ট্রুডো সরকারের জন্য, কারণ এটি তার শাসনকালের জন্য এক বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অজিত-শরদ একসঙ্গে, আবার কি কাকা-ভাইপো পুনর্মিলন? জল্পনা মহারাষ্ট্রে
কানাডার উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের হঠাৎ পদত্যাগের পর থেকে ট্রুডোর উপর চাপ আরও বেড়েছে। ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ একে একে সমগ্র সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে এবং এই পদত্যাগের পর থেকে ট্রুডোর গদিচ্যুত হওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, ট্রুডোর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এর আগে একাধিক সমস্যা এবং সমালোচনা তাকে আক্রমণ করেছে, কিন্তু ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ এবং ট্রুডোর নিজের দলের মধ্য থেকে অসন্তোষের ফলে এখন পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে উঠেছে।
এখন, ট্রুডোর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর মধ্যে তার সরকারের নানা নীতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন। তার সরকারের দুর্বলতা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে, এবং বিরোধী দলগুলি এই দুর্বলতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। ২০২৫ সালের ফেডারেল নির্বাচনের আগে, ট্রুডোর সরকার যদি সংকটে পড়ে, তবে এটি নতুন নির্বাচনকেও ত্বরান্বিত করতে পারে।
ওর্লিয়েন্সের পর লাস ভেগাস, ট্রাম্পের হোটেলের সামনে টেসলার গাড়িতে বিস্ফোরণ,হত চালক! জখম ৭
পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, কানাডার রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হতে যাচ্ছে। স্ন্যাপ ইলেকশন হলে, কানাডার নাগরিকদের সামনে একটি নতুন রাজনৈতিক ভোটের মুখোমুখি হতে হবে, এবং তার ফলে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হতে পারে। এটি ট্রুডো সরকারের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে এবং পরবর্তী দিনগুলিতে কানাডার রাজনীতির দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই।