Manu Bhaker receive Major Dhyan Chand Khel Ratna Award
ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার’ (Major Dhyan Chand Khel Ratna Award) এবার পাচ্ছেন চার ক্রীড়াবিদ। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক (Ministry of Youth Affairs and Sports) সম্প্রতি এই চার ক্রীড়াবিদের নাম ঘোষণা করেছে। তারা হলেন, প্যারিস অলিম্পিকে জোড়া পদক জয়ী শুটার মনু ভাকের (Manu Bhaker), দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ডি গুকেশ (D Gukesh), ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং (Harmanpreet Singh) এবং ২০২৪ প্যারালিম্পিকে সোনা জয়ী প্রবীণ কুমার (Praveen Kumar)। এই সম্মান তাদের ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য প্রদান করা হচ্ছে।
Ministry of Youth Affairs and Sports announces the Khel Ratna Award for Olympic double medalist Manu Bhaker, Chess World Champion Gukesh D, Hockey team Captain Harmanpreet Singh, and Paralympic Gold medallist Praveen Kumar. pic.twitter.com/VD54E0EtEk
— ANI (@ANI) January 2, 2025
মনু ভাকের: স্বাধীনতার পর প্রথম অলিম্পিকে জোড়া পদক
কেএল রাহুলের হাত ধরে বেবি বাম্প প্রকাশ্যে আনলেন আথিয়া
মনু ভাকের ২২ বছর বয়সে প্যারিস অলিম্পিকে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন এবং আরও একটি পদক অর্জন করেন ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড ডাবলস ইভেন্টে, যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন শুটার সরবজোৎ সিং। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে দুটি পদক জিতে তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে এক অলিম্পিকে দুটি পদক জয়ের নজির গড়েন। মনু ভাকেরের এই কৃতিত্ব শুধুমাত্র তাঁর জন্যই নয়, গোটা দেশের জন্য গর্বের বিষয়। যদিও কিছুদিন আগে তাঁর নাম খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত না হওয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল, তবে পরে সেই বিতর্ক মিটে যায় এবং তিনি খেলারত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
ডি গুকেশ: দাবার মহাযুদ্ধে বিজয়ী
শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে এই লক্ষ্য বেঙ্গালুরু এফসি?
ডি গুকেশ, ভারতীয় দাবার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন এবং এই কৃতিত্ব তাকে ক্রীড়াক্ষেত্রের শীর্ষ সম্মান লাভের উপযুক্ত করে তোলে। গুকেশের এই অর্জন বিশ্বজুড়ে ভারতীয় দাবার মান বাড়িয়েছে এবং তাঁকে একটি আলাদা মর্যাদা এনে দিয়েছে। তিনি দাবায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আরও বেশি মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছেন এবং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
হরমনপ্রীত সিং: হকি দলের অধিনায়ক হিসেবে ভারতের গৌরব
ওডিশার এই ডিফেন্ডারের দিকে নজর কেরালা ব্লাস্টার্সের
ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিংয়ের নেতৃত্বে ভারত অলিম্পিক হকিতে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছে। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় হকি দলের পারফরম্যান্স ছিল একেবারে অসাধারণ এবং তিনি তাঁর দলের খেলোয়াড়দের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে এই পদক জয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে ভারতীয় হকি দলের ব্রোঞ্জ পদক জয় ভারতীয় হকির জন্য এক যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তিনি টোকিও অলিম্পিকেও পদক জয়ী দলের সদস্য ছিলেন, যা তাঁর ক্রীড়া জীবনের এক উল্লেখযোগ্য অর্জন।
প্রবীণ কুমার: প্যারালিম্পিকে সোনাজয়ী হাই-জাম্পার
হায়দরাবাদ ম্যাচে বিশেষ চমক বাগান শিবিরের
প্রবীণ কুমার, প্যারালিম্পিক্সে সোনা জয়ী ভারতের হাই-জাম্পার, ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে এক অনন্য পরিচিতি অর্জন করেছেন। প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে তিনি সোনা জেতেন এবং এই কৃতিত্ব তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা অর্জন। এর আগে, তিনি টোকিও প্যারালিম্পিক্সে রুপোর পদকও জিতেছিলেন। প্রবীণ কুমারের এই কৃতিত্ব ভারতীয় প্যারা-অ্যাথলেটদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা, কারণ তাঁর পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাসের ফলস্বরূপ তিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অ্যাথলেটদের সাথে প্রতিযোগিতা করে এই পদক জিতেছেন।
অর্জুন পুরস্কার এবং দ্রোণাচার্য পুরস্কার:
৪৫০ কোটির দুর্নীতিতে নাম জড়াল শুভমনের, তলব সিআইডির
এই খেলরত্ন পুরস্কারের পাশাপাশি ৩২ জন ক্রীড়াবিদকে অর্জুন পুরস্কারও প্রদান করা হচ্ছে, যার মধ্যে ১৭ জন প্যারা-অ্যাথলিট। অর্জুন পুরস্কার পাওয়া ক্রীড়াবিদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হলো: শুটার সরবজোৎ সিং, দাবাড়ু বন্তিকা আগরওয়াল, হকি প্লেয়ার সুখজিৎ সিং এবং অন্যান্য অনেক গুণী ক্রীড়াবিদ। এছাড়াও তিনজন কোচ পাচ্ছেন দ্রোণাচার্য পুরস্কার, যারা প্যারা শুটিং কোচ সুভাষ রানা, শুটিং কোচ দীপালি দেশপাণ্ডে এবং হকি কোচ সন্দীপ সাঙ্গুয়ান।
লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার: আর্মান্দো কোলাসো ও এস মুরলিধরণ
ক্রীড়াক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অবদানের জন্য প্রাক্তন ফুটবল কোচ আর্মান্দো কোলাসো এবং ব্যাডমিন্টন কোচ এস মুরলিধরণকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
এই সমস্ত পুরস্কার আমাদের ক্রীড়াবিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং সম্মান প্রকাশ করছে, যারা বিশ্বমঞ্চে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন। তাদের কৃতিত্ব শুধু তাদের নিজের জন্য নয়, গোটা দেশের জন্য গর্বের বিষয়। তাদের সংগ্রাম, পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাস আমাদের নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে, এবং ভবিষ্যতে আরও ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ফলাফল অর্জন করবেন। আগামী ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবনে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন সম্মানে ভূষিত হবেন চার কৃতী ৷