Artist Boycott Political Tension
শিল্পী বয়কট নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি কারও ওপর কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চান না। সম্প্রতি একটি ঘটনায়, যেখানে এক শিল্পীর অভিযোগ ছিল যে, আর জি কর হাসপাতাল কাণ্ডে প্রতিবাদ করায় তার শো বাতিল হয়েছে, তা নিয়ে মন্তব্য করেন অভিষেক। (Artist Boycott Political Tension)
অভিষেক বলেন, “কে কোথায় রাস্তা নেমে প্রতিবাদ করবে, সেটা তার নিজস্ব বিষয়। আমি কারও ওপর জোর করে কোনও কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। কারা মঞ্চে গান গাইবে, আলো বা সাউন্ডের দায়িত্বে থাকবে, সেটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। সবার নিজস্ব স্বাধীনতা থাকা উচিত।”
দলের কোনও নির্দেশ নেই Artist Boycott Political Tension
তিনি স্পষ্ট করে জানান, এই শিল্পী বয়কটের বিষয়ে দলের তরফ থেকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ বিষয়ে কিছু বলেননি, এবং তিনি নিজেও, দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে, এমন কোনও নির্দেশ দেননি। “আমি সকলের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার অধিকার সকলের আছে,” বলেন অভিষেক।
ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ Artist Boycott Political Tension
এক শিল্পী তাকে ফোন করে অভিযোগ জানান যে, আর জি কর হাসপাতাল কাণ্ডে প্রতিবাদ করায় তার একটি শো বাতিল করা হয়েছে। অভিষেক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেন এবং তৎক্ষণাৎ দলের প্রোগ্রাম কমিটির সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি নিশ্চিত করেন, সেই শিল্পীই অনুষ্ঠানে গান গাইবেন। “এটাই আমাদের বাংলা। এখানে সকলের স্বাধীনতা রক্ষা করা হয়,” বলেন অভিষেক।
বাংলা বনাম উত্তরপ্রদেশের পার্থক্য Artist Boycott Political Tension
অভিষেক তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “আমি নিজে ১৪ আগস্ট প্রতিবাদ করেছিলাম। এটাই বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশের পার্থক্য। বাংলায় সবাইকে প্রতিবাদের অধিকার দেওয়া হয়, যা অন্য অনেক জায়গায় দেখা যায় না।” তার এই বক্তব্য তৃণমূলের উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির দিকটি তুলে ধরে।
বিরোধী পক্ষের কটাক্ষ Artist Boycott Political Tension
বিরোধীরা অবশ্য এই ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি। বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর দাবি, তৃণমূল সরকার শিল্পী বয়কটকে সমর্থন করছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তাপমাত্রা আরও বেড়ে চলেছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য তৃণমূলের অবস্থানকে স্পষ্ট করলেও, বিরোধীরা বিষয়টিকে নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন তুলে চলেছে। এর ফলে রাজ্যের রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের স্বাধিকার রক্ষায় তৃণমূলের অবস্থান কতটা দৃঢ়, তা নিয়ে রাজ্যবাসীর মধ্যে আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, শিল্পী বয়কট নিয়ে তিনি কোনও কড়া নির্দেশ জারি করতে চান না। তিনি দলের পক্ষ থেকে কোনও চাপিয়ে দেওয়ার রাজনীতি নয়, বরং সবার স্বাধিকার রক্ষায় বিশ্বাস করেন। তবে বিরোধী পক্ষের সমালোচনা ও অভিযোগের মধ্যে এই ঘটনার ভবিষ্যৎ পরিণতি কী দাঁড়াবে, তা সময়ই বলবে।
West Bengal: Amid political tension over artist boycotts, TMC General Secretary Abhishek Banerjee stated he does not wish to impose decisions on anyone. He clarified that there are no party directives regarding the boycott.