এবার বছর সাতেক পর, ট্রফি জিতে কী বললেন চাকু মান্ডি?

কেরালার (Kerala) বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধ। নিজামের শহর থেকে এবার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন (Santosh Trophy) হল সঞ্জয় সেনের (Sanjoy Sen) ছেলেরা। গত ম্যাচে সার্ভিসেস দলকে পরাজিত…

Emami East Bengal, signing, Bengal youngsters, Bijay Murmu, Chaku Mandi, football.

কেরালার (Kerala) বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধ। নিজামের শহর থেকে এবার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন (Santosh Trophy) হল সঞ্জয় সেনের (Sanjoy Sen) ছেলেরা। গত ম্যাচে সার্ভিসেস দলকে পরাজিত করে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল চাকু মান্ডিরা (Chaku Mandi)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ সন্ধ্যায় হায়দরাবাদের বুকে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলা ফুটবল দল (Bengal Football Team)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী কেরালা দলের সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে একটি গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলার ছেলেরা। গোল পান রবি হাঁসদা।

সঞ্জয় সেনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা , কী বললেন?

   

যারফলে প্রায় ছয় বছর পর এই ঐতিহ্যবাহী খেতাব জয় করল চাকু মান্ডিরা। ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” আমাদের দলের কোচ বলেই দিয়েছিল যে ফাইনালে যখন এসেছি জিততেই হবে। তিনি আমাদের বলেছিলেন যেভাবেই হোক সকলকে নিজের সেরাটা দিতে হবে। তাই এই জয় আমি কোচকেই উৎসর্গ করব‌। তাছাড়া এই টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই যথেষ্ট শক্তিশালী থেকেছে আমাদের দলের রক্ষণভাগ। যার সুফল আমরা এবার পেয়েছি। সকলেই যথেষ্ট ভালো খেলেছে”। গত মরসুমের টুর্নামেন্টের প্রথমদিকে বিদায় নিতে হলেও এবার শুরু থেকেই অনবদ্য ছন্দে ধরা দিয়েছিল বাংলার ছেলেরা।

নর্থইস্ট ম্যাচে নেই সাদা-কালোর এই তারকা ফুটবলার

অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করেছিল একের পর এক শক্তিশালী ফুটবল দলকে। এদিন ও বজায় থাকল সেই ধারা। মঙ্গলবার ম্যাচের শুরু থেকে কেরল ফুটবলারদের আধিপত্য থাকলেও মাঝে বেশ কয়েকবার গোলের সহজ সুযোগ তৈরি করে নিয়েছিল ছেলেরা‌। তবে প্রথমার্ধের শেষে অপরিবর্তিত ছিল ম্যাচের ফলাফল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বদলাতে শুরু করে ম্যাচের গতিবিধি। সময় যত এগিয়েছে ততই মাঝমাঠের দখল নিয়েছে আবু সুফিয়ান থেকে শুরু করে মনোতোষ মাঝিরা। কাল প্রতিপক্ষের দক্ষ ডিফেন্সে আটকে যেতে হয় বারংবার।

দলকে চ্যাম্পিয়ন করে কী বললেন সঞ্জয় সেন ?

কিন্তু নির্ধারিত নব্বই মিনিটের শেষে ও গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি কারুর পক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ছয় মিনিট সময় সংযুক্ত করা হয় ম্যাচ রেফারির তরফে। তাঁর মধ্যেই বাজিমাত। সুযোগ বুঝেই গোল তুলে নেন রবি হাঁসদা। যারফলে আবারও ভারত সেরা বাংলা দল।