২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি সিকিমের নাথুলা পাসে (Sikkim Tourist Places) পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারত-চীন সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই নাথুলা পাসে (Sikkim Tourist Places) এক বিশেষ সীমান্ত কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যার কারণে ওই দিন পর্যটক এবং সাধারণ মানুষের চলাচল সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সোমবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাথুলা পাস (Sikkim Tourist Places) ভারতের সিকিম রাজ্যের পূর্বাংশে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, যা ভারত-চীন সীমান্তের খুব কাছেই অবস্থিত। প্রতি বছর এই স্থানটি দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, কিন্তু ১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে সেখানে বিশেষ সীমান্ত কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ওই দিন ভ্রমণকারীদের (Sikkim Tourist Places) জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
কর্মকর্তারা জানান, “নাথুলা পাসে (Sikkim Tourist Places) ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে একটি বিশেষ সীমান্ত কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন নিশ্চিত করার জন্য এবং নিরাপত্তার কারণে ওইদিন নাথুলা(Sikkim Tourist Places) এবং তার আশপাশে পর্যটকদের এবং সাধারণ মানুষের চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।”
তবে, সিকিমের (Sikkim Tourist Places) অন্যান্য জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলি যেমন চোঙ্গো লেক এবং বাবা মন্দির পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সুতরাং, যারা নাথুলা পাসে (Sikkim Tourist Places) যেতে ইচ্ছুক ছিলেন তারা অন্যান্য স্থানগুলি পরিদর্শন করতে পারবেন।
এদিকে, কর্তৃপক্ষ ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিয়েছে যে তারা তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা আগে থেকেই ঠিক করে নেয়। ১ জানুয়ারি নাথুলা যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে, পর্যটকদের অন্য দিনের জন্য পরিকল্পনা পরিবর্তন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নাথুলা পাসের জনপ্রিয়তা এবং সিকিমের সীমান্ত অঞ্চলের গুরুত্বের কারণে, সেখানে সীমান্ত কর্মী সম্মেলন যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের সম্মেলন সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সহায়ক হয়, এবং তাই পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সম্মেলনের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সিকিমের প্রকৃতি ও মনোরম দৃশ্যাবলী, পাশাপাশি এর বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থানগুলি পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ। চোঙ্গো লেক এবং বাবা মন্দিরও সেই তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত। সুতরাং, ১ জানুয়ারি নাথুলা না গেলেও, সিকিমে অবস্থিত অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলি পরিদর্শন করে ভ্রমণকারীরা তাদের সময় উপভোগ করতে পারবেন।
পর্যটকদের জন্য এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কখনো কখনো সাময়িক অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে, তবে এটি নিরাপত্তা এবং সম্মেলনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, পর্যটকরা এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবেন এবং তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা নতুন করে সাজাবেন।