বঙ্গের শীতকালীন শাকসবজি কলকাতার বাজারে (vegetable price) আসার সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তারা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন, কারণ মূল্যগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। আবহাওয়ার অনিয়মিত পরিবর্তনের কারণে শস্য উৎপাদনে বিলম্ব হওয়ায় প্রথমে কলকাতা অন্যান্য রাজ্য থেকে উচ্চমূল্যের শাকসবজি (vegetable price) আমদানি করতে বাধ্য হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে, স্থানীয় শাকসবজি বাজারে (vegetable price) আসায় আবারও সস্তা হয়ে উঠেছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিক্রেতা সমিতির সভাপতি কামাল দে বলেন, “অন্য রাজ্যের উপর আমাদের নির্ভরশীলতা শেষ হয়ে গেছে, কারণ বাংলার শাকসবজি বাজারে (vegetable price) আসতে শুরু করেছে, যার ফলে মূল্য কমে গেছে। এই সপ্তাহে মূল্য হ্রাস প্রক্ষিপ্ত হয়েছে, যা চমকপ্রদ।”
ডিসেম্বরে শাকসবজির মূল্য (vegetable price) একটি উল্লেখযোগ্য ওঠানামা দেখেছে, কারণ বাংলার শীতকালীন ফসলের সরবরাহ ধীরে ধীরে রাজ্যগুলির আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বেগুন প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, কিন্তু ১৫ ডিসেম্বর এটি কমে ৮০ টাকা (vegetable price) হয়ে যায়, এরপর ২২ ডিসেম্বর ৬০-৭০ টাকায় পৌঁছায় এবং ২৯ ডিসেম্বর এটি ৪০-৪৫ টাকায় (vegetable price) বিক্রি হতে থাকে।
গাজর ৮ ডিসেম্বর ৮০ টাকায় শুরু হলেও ১৫ ডিসেম্বর ৬০ টাকায় (vegetable price) নেমে আসে, ২২ ডিসেম্বর ৫০-৬০ টাকায় পৌঁছায় এবং ২৯ ডিসেম্বর একে ৪০ টাকায় (vegetable price) পাওয়া যায়। ফ্ল্যাট বিনের মূল্য ৮ ডিসেম্বর ১০০ টাকা ছিল, যা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ৩০ টাকায় (vegetable price) নেমে যায়। টমেটো ৮ ডিসেম্বর ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হলেও ধীরে ধীরে ২৯ ডিসেম্বর ৪০-৫০ টাকায় চলে আসে। ফুলকপি ৮ ডিসেম্বর ৬০ টাকায় (vegetable price) ছিল এবং ২৯ ডিসেম্বর এটি ১৫ টাকায় চলে আসে। বাঁধাকপি ৮ ডিসেম্বর ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হলেও মাসের শেষের দিকে ২০-২৫ টাকায় (vegetable price) পাওয়া যায়, বলেন সিলদহ বাজারের সবজি বিক্রেতা অরুণ গুপ্ত।
সবুজ মরিচ, তিতি পটল ও পারওয়াল ডিসেম্বর মাসজুড়ে প্রায় একই মূল্যে বিক্রি হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর সবুজ মরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এর দাম ৮০ টাকায় স্থির থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে কলকাতার বাজারে শাকসবজির মূল্য কমে যাওয়ার ফলে সাধারণ ভোক্তারা পুনরায় আনন্দিত। স্থানীয় উৎপাদন বাড়ার ফলে খাদ্য সামগ্রীর দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে, যা বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাকাটার সুযোগ এনে দিয়েছে।