nimisha priya death sentence
কলকাতা: ইয়েমেনের নাগরিককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত তিনি৷ তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিক করা হয়েছে৷ ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার চরম শাস্তি রদ করা গেল না৷ নিমিশার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দিলেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি। সাত বছর ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন নিমিশা৷ অভিবাসী ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশে উদ্বেগে নয়াদিল্লি। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। (nimisha priya death sentence)
নিমিষা প্রিয়ার পরিবারের পাশে কেন্দ্র nimisha priya death sentence
ভারত সরকার ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কেরালার নার্স নিমিষা প্রিয়ার পরিবারের প্রতি “সব ধরনের সহায়তা” প্রদানের কথা ঘোষণা করেছে। সোমবার, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রশাদ আল-আলিমি ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত নিমিশার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেন। ২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনের একটি কারাগারে বন্দি রয়েছেন প্রিয়া৷
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তারা প্রিয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে৷ তাঁদের সর্বাত্মকভাবে সহায়তা প্রদান করবে সরকার। কূটনৈতিক স্তরে প্রিয়ার জন্য সুবিচার বা দয়া প্রার্থনা করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। কেরালায় প্রিয়ার পরিবার ও স্থানীয় জনগণ অত্যন্ত উদ্বেগে রয়েছেন৷ তাঁরা এই শাস্তির প্রতিবাদ জানাচ্ছে৷
২০০৮ সাল থেকে ইয়েমেনে নিমিশি nimisha priya death sentence
কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা পেশায় নার্স৷ কর্মসূত্রেই তিনি স্বামী এবং মেয়েকে নিয়ে ইয়েমেনে থাকতেন। ২০০৮ সাল থেকে ইয়েমেনের এক হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিমিশা। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী এবং কন্যা ভারতে ফিরে আসেন৷ কিন্তু, তিনি ইয়েমেনেই থেকে যান। সেদেশে নিজের একটা ক্লিনিক খোলার স্বপ্ন ছিল তাঁর। ভাগ্যচক্রে ওই বছরই তালাল আবদু মাহদি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। মাহদি তাঁকে নতুন ক্লিনিক খুলতে সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দেন। সেই মতো ২০১৫ সালে মাহদির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্লিনিক খোলেন নিমিশা। কিন্তু অংশীদারিত্ব নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই দু’জনের মধ্যে মতবিরোধ গড়ে ওঠে। ঝামেলা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নেন মাহদি। পরিস্থিতি থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়৷
ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে হত্যা nimisha priya death sentence
এমনও অভিযোগ ওঠে যে, মাহদি নিমিশার উপর শারীরিক অত্যাচার করেছেন৷ এমনি তাঁকে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতেও বাধ্য করেন মাহদি৷ ২০১৭ সালের জুলাই মাসে মাহদিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে হত্যা করেন নিমিশা। তাঁর অবশ্য যুক্তি হল, তিনি মাহদিকে হত্যা করতে চাননি৷ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, মাহদির কাছ থেকে নিজের পাসপোর্ট উদ্ধার করা৷ কিন্তু ওভারডোজের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়৷ এর পর মাহদির দেহ লোপাট করতে তাঁর মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন৷ ইয়েমেন থেকে পালানোর চেষ্টাও করেছিলন তিনি৷ কিন্তু ধরা পড়ে যান৷ ২০১৮ সালে ইয়েমেনের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি৷
মেয়েকে বাঁচাতে কোনও কসুর রাখেননি নিমিশার মা প্রেমা কুমারী। তাঁর জন্য আইনজীবীর বন্দোবস্ত করে বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু গত বছর নিমিশার সাজা মকুবের শেষ আবেদন খারিজ করে দেয় সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।
World: Yemeni President Rashad Al-Alimi approves the death sentence for Indian nurse Nimisha Priya, convicted of killing a Yemeni citizen. New Delhi expresses concern, offers full support to her family, and works diplomatically for justice.