উগ্রপন্থীদের বাঙ্কারে সেনার হানা, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার

উত্তপ্ত মণিপুরে ফের বড় অভিযান চালাল নিরাপত্তাবাহিনী। ইম্ফল পূর্ব(Manipur) ও কাংপোকপি জেলায় সেনা, পুলিশ ও আধাসেনার যৌথ অভিযানে উগ্রপন্থীদের চারটি বাঙ্কার(Manipur)  ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি…

Army’s Major Operation in Manipur: Militants’ Bunkers Destroyed

উত্তপ্ত মণিপুরে ফের বড় অভিযান চালাল নিরাপত্তাবাহিনী। ইম্ফল পূর্ব(Manipur) ও কাংপোকপি জেলায় সেনা, পুলিশ ও আধাসেনার যৌথ অভিযানে উগ্রপন্থীদের চারটি বাঙ্কার(Manipur)  ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও তিনটি বাঙ্কারের দখল নেয় যৌথবাহিনী। চুড়াচাঁদপুর ও তেঙ্গনৌপাল জেলাতেও অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক। দীর্ঘদিন ধরে চলা অশান্তির আবহে এই অভিযান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলায় (Manipur) সেনার তরফে অভিযান চালানো হয়। খবর ছিল যে এই অঞ্চলে উগ্রপন্থীরা একাধিক বাঙ্কার তৈরি করেছে, যা তাদের লোকালয়ে হামলা চালানোর কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যৌথবাহিনী তৎপর হয়। অভিযানে উগ্রপন্থীদের (Manipur) চারটি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয় এবং তিনটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।
অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। ইয়াংগংপোকপি, ইম্ফল পূর্ব এবং চুড়াচাঁদপুর জেলায় যৌথবাহিনীর (Manipur) তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি লাইট মেশিন গান, ১২ বোরের সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক, ৯এমএম পিস্তল, দুটি টিউব লঞ্চার এবং প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক। এছাড়া তেঙ্গনৌপাল জেলায় অসম রাইফেলস ও মণিপুর (Manipur) পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩০৩টি রাইফেল ও বিপুল পরিমাণ আইইডি বিস্ফোরক।

   

গত বছরের মে মাস থেকে মণিপুরে (Manipur) দফায় দফায় কুকি ও মেতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করেছে। যদিও সেনার উপস্থিতি সত্ত্বেও, উগ্রপন্থীদের হামলা থামেনি। ইতিউতি এখনও সংঘর্ষের খবর আসছে।

উগ্রপন্থীদের কার্যকলাপে লাগাম টানতে সেনা, পুলিশ ও আধাসেনার যৌথবাহিনী একাধিক অভিযান চালাচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে এই অভিযান জোরকদমে চালানো হচ্ছে। গত শুক্রবার এমনই এক অভিযানে চারজন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মী ছিলেন। তবে, রবিবার থেকে সোমবারের অভিযানে সাফল্য পেয়েছে যৌথবাহিনী।

অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি উগ্রপন্থীদের নেটওয়ার্ক গুঁড়িয়ে দিতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে গোপন তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য প্রশাসনের যৌথ প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে সেনার এই অভিযান মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, হিংসা-জর্জরিত এই রাজ্যে সম্পূর্ণ স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের আরও কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। মণিপুরের জনগণ শান্তির প্রত্যাশায় আছে, এবং প্রশাসন সেই লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।