পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath temple) ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি ভক্তদের জন্য প্রবেশের নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই দু’দিন মন্দিরে প্রবেশের জন্য ভক্তদের কিছু বিশেষ নিয়মের সম্মুখীন হতে হবে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণ ভক্তেরা চাইলেই যে কোনও পথ দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। বরং, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট চারটি পথ রয়েছে, তার মধ্যে একমাত্র সিংহদ্বার দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। অন্য তিনটি পথ শুধুমাত্র মন্দির থেকে বেরোনোর জন্য ব্যবহৃত হবে।
এটি একটি অস্থায়ী নিয়ম যা বিশেষভাবে ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি, বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের দিনগুলির জন্য কার্যকর করা হবে। এই নিয়মের মাধ্যমে মন্দির কর্তৃপক্ষ একদিকে ভক্তদের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায়, অন্যদিকে মন্দিরে উপচে পড়া ভক্তদের ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করে তুলতে চায়।
তবে, এই নতুন নিয়ম শুধুমাত্র সাধারণ ভক্তদের জন্য প্রযোজ্য। মন্দিরের সেবায়েত বা তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য এই প্রবেশের নতুন নিয়ম কার্যকর হবে না। তারা তাদের পূর্ববর্তী নিয়ম অনুসারে মন্দিরে প্রবেশ ও বাহির হতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ জানায় যে, সেবায়েতরা মন্দিরের কাজে নিয়োজিত, এবং তাদের জন্য এই ধরনের বিধিনিষেধের প্রয়োজন নেই।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রতি বছরেই ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি পুরী জগন্নাথ মন্দিরে বিপুল সংখ্যক ভক্ত সমবেত হন। বছরের এই দুটি দিনে মন্দিরে দর্শন করতে আসা ভক্তদের সংখ্যা অনেক বাড়ে, যা মন্দিরের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তাই, ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মন্দিরে প্রবেশ ও বাহিরের জন্য কিছু নিয়মকানুন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া, এই প্রবেশের নিয়মের ফলে মন্দিরে ঢোকা এবং বেরোনোর সময় কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হওয়ার আশাও রয়েছে। ভক্তদের শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খলভাবে মন্দিরে প্রবেশ এবং বাহির হতে সহায়তা করবে এই নতুন ব্যবস্থা। কর্তৃপক্ষ আশা করে, এই পরিবর্তনগুলি ভক্তদের জন্য আরও ভালো অভিজ্ঞতা তৈরি করবে এবং পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
মন্দির কর্তৃপক্ষের এই নতুন নিয়মে ভক্তরা কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে পারেন, তবে কর্তৃপক্ষ আশা করে যে তারা এই নিয়ম মান্য করবেন এবং মন্দিরের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়তা করবেন। বিশেষ করে, পুরী জগন্নাথ মন্দিরের মতো ঐতিহাসিক স্থানে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়, যা অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করে। ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি এই নিয়ম কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও, মন্দির কর্তৃপক্ষ ভক্তদের ভক্তি ও শান্তিপূর্ণ দর্শনের সুযোগ দেওয়ার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।