4.5 হাজার মিটার গভীর জলে সফলভাবে ডুব দিয়ে বড় আবিষ্কার ভারতের

India Deep Ocean Mission: গভীর সমুদ্রে ভারত দারুণ সাফল্য পেয়েছে। দেশের উচ্চাভিলাষী সামুদ্রিক মিশন – ডিপ ওশান মিশনের অধীনে, গবেষকরা একটি হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট অর্থাৎ জলের…

India Deep Ocean Mission

India Deep Ocean Mission: গভীর সমুদ্রে ভারত দারুণ সাফল্য পেয়েছে। দেশের উচ্চাভিলাষী সামুদ্রিক মিশন – ডিপ ওশান মিশনের অধীনে, গবেষকরা একটি হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট অর্থাৎ জলের 4.5 হাজার মিটার গভীরে পৃষ্ঠে উপস্থিত একটি ‘গর্ত’ আবিষ্কার করেছেন। এটি ভারত মহাসাগরের পৃষ্ঠের নীচে উপস্থিত পাওয়া গেছে। এই নজিরবিহীন আবিষ্কারকে দেশের গভীর মহাসাগর মিশনে একটি মাইলফলক বলা হচ্ছে। এর অর্থ কী, চলুন জেনে নিন বিস্তারিত।

Deep Ocean মিশনের অধীনে, ভারতীয় গবেষকরা ভারত মহাসাগরে পৃষ্ঠের 4500 মিটার নীচে অবস্থিত একটি ছিদ্রযুক্ত বায়ুপথ আবিষ্কার করেছেন। এটি একটি হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট। গবেষকরা বলছেন, এই আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং ভবিষ্যতে গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা দেবে।

   

 

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি (এনআইওটি) এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ (এনসিপিওআর) এর বিজ্ঞানীরা একসাথে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ভারত মহাসাগরে একটি সক্রিয় হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট আবিষ্কার করেছেন।

হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট কী?

হাইড্রোথার্মাল ভেন্টকে সহজভাবে বলা হয় জলের নিচে থাকা উষ্ণ প্রস্রবণ। তারা মধ্য-সমুদ্রের শৈলশিরা বরাবর গঠন করে যেখানে টেকটোনিক প্লেটগুলি আলাদা হয়ে যায়। যখন ম্যাগমা পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তর, ম্যান্টেল থেকে বেরিয়ে আসে, তখন এটি একটি নতুন উপরের স্তর, ভূত্বক গঠন করে। এটি আগ্নেয়গিরির পর্বতগুলির একটি শৃঙ্খল গঠনের জন্যও দায়ী। যখন সমুদ্রের জল এই নতুন ভূত্বকের মধ্যে প্রবেশ করে, তখন তা উত্তপ্ত হয়ে ফিরে আসে। এতে দ্রবীভূত খনিজ পদার্থ রয়েছে যা বাইরের ঠান্ডা জলে এলে জমে যায়।

গভীর মহাসাগর মিশন কী? (What is Deep Ocean Mission)

ডিপ ওশান মিশন হল ভারতের উচ্চাভিলাষী সামুদ্রিক মিশন যার খরচ বলা হয় ৪ হাজার কোটি টাকা। এই মিশনের উদ্দেশ্য হল সমুদ্রে উপস্থিত নতুন খনিজগুলিকে উন্মোচন করা, সমুদ্রের অনন্য ইকোসিস্টেম অধ্যয়ন করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্র কী ভূমিকা পালন করতে পারে তা বোঝার অগ্রগতি করা।
এনসিপিওআরের পরিচালক থামবান মেলোথ এই আবিষ্কারটিকে একটি মাইলফলক হিসাবে বর্ণনা করেছেন যা ভারতের 4 হাজার কোটি টাকার মিশনে একটি বড় অর্জন। 1977 সালে গ্যালাপাগোস রিফটে প্রথম হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট আবিষ্কৃত হয়েছিল। তবে ভারত মহাসাগরে এটিই ভারতের প্রথম আবিষ্কার।