গাছিবাউলি স্টেডিয়ামে এবার আটকে গেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেলে টুর্নামেন্টের তেরো তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ময়দানের এই প্রধান। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল হায়দরাবাদ এফসির সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয় এই ফুটবল ম্যাচ। যারফলে এক পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হল অস্কার ব্রুজনের (Oscar Bruzon) ছেলেদের। যা কিছুটা হলেও হতাশ করেছে সকল সমর্থকদের। বলাবাহুল্য, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে এই ম্যাচ শুরু করার ভাবনা থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি।
ম্যাচের প্রথম থেকেই যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করেছিল হায়দরাবাদের ফুটবলাররা। তবে সময় এগোনোর সাথে সাথেই যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেন ক্লেটন সিলভারা। তারপর একের পর এক আক্রমণ। কিন্তু গোলের মুখ খোলা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না লাল-হলুদ ব্রিগেডের। তাঁর মাঝেই নিজেদের গোল বক্সে ক্লেটন সিলভাকে ফাউল করে বসেন হায়দরাবাদ দলের গোলরক্ষক আর্শদীপ সিং। বলতে গেলে দলের সাক্ষাৎ পতন রোধ করতে গিয়ে সোজা এই ব্রাজিলিয়ান তারকার বুকে পা চালিয়ে দেন গোলরক্ষক।
এমন পরিস্থিতিতে ফাউলের আবেদন করা হলেও নির্বিকার থেকেছেন ম্যাচ রেফারি। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম কোয়ার্টারে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জিকসন সিং। ক্লেটন সিলভার ফ্রি-কিক বারে লাগলেও সেই ফিরতি বল নজরে রেখে গোলে ঠেলে দেন এই তারকা ফুটবলার। এই গোলের পর থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে দেখা যায় মশাল ব্রিগেডকে। কিন্তু আর ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের শেষ লগ্নে গোল করে দলকে সমতায় আনেন মনোজ মহম্মদ। বলতে গেলে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলারের গোলেই আটকে গেল মশাল ব্রিগেড।
দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট হতাশ লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজন। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে দুটো সুযোগ ছিল। আমাদের হয় ব্যবধান ধরে রেখে খেলতে হয় নাহলে গোল করে ব্যবধান বাড়তে হত। আমরা দ্বিতীয়টা বেছে নিয়েছিলাম। নন্দকুমার গোটা ম্যাচ জুড়ে অনেক গুলো সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু আর ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে হায়দরাবাদ দল একটি সুযোগেই গোল করে যায়।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বল ধরে রেখে খেলার চেষ্টা করছিলাম। মহেশ মাঠে এসে সেই চেষ্টাই করছিল। কিন্তু আমরা ব্যবধান বাড়াতে পারিনি। আমরা প্রতিটি ম্যাচ পয়েন্ট পাওয়ার জন্য খেলি। কিন্তু অ্যাওয়ে ম্যাচে কাজটা কিছুটা কঠিন হয়ে যায়। তবে আমি আশাবাদী বাইরের মাঠে থেকে পয়েন্ট আশায় ছেলেদের আত্মবিশ্বাস কিছুটা হলেও বাড়বে”।