একে জিনাতে রক্ষে নেই, তারমধ্যে আরও ২০ টি চিতা আফ্রিকা থেকে আনছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।ভারতের বন্যপ্রাণী (Wildlife in India) সংরক্ষণ প্রকল্পে আফ্রিকান চিতাদের পুনর্বাসন শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে, যখন ৮টি চিতা নামিবিয়া (Namibia) থেকে আনা হয়েছিল। এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল চিতাদের ভারতীয় পরিবেশে পুনঃস্থাপন করা এবং তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এর পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হয়। ভারতের মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানেই তাদের প্রথমে রাখা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নিজে এদের খাঁচা উন্মুক্ত করেছিলেন। চিতাদের ভারতের পরিবেশে মানিয়ে নেয়ার আশা ছিল, তবে বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন।
বিদায়! কংগ্রেস সদর দফতর থেকে শুরু মনমোহনের শেষযাত্রা, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য
কিছুদিনের মধ্যে চিতারা শাবক জন্ম দিয়েছিল, কিন্তু আফ্রিকার শিকারী প্রাণী ভারতের গরম, আর্দ্র আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কুনো জাতীয় উদ্যানের পরিবেশ, বিশেষ করে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা, চিতাদের জন্য উপযুক্ত নয় বলে কিছু বিশেষজ্ঞের মতামত এসেছে। আফ্রিকার শুকনো সাভানা এবং ভারতের বর্ষাকালীন আবহাওয়া একেবারে ভিন্ন, এবং এতে করে সংক্রমণের সমস্যা বাড়ছে। চিতাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর পর, প্রকল্পটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ১১টি চিতার মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি পূর্ণবয়স্ক এবং কিছু শাবক ছিল।
মনমোহন সিং-এর স্মৃতিসৌধ হবে, জায়গা দেবে কেন্দ্র, জানিয়ে দিল শাহী মন্ত্রক
এ পরিস্থিতিতে, নরেন্দ্র মোদী সরকার নতুন বছরেই আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চল থেকে আরও ২০টি চিতা আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ বন দফতরের সূত্রে জানা গেছে, এই চিতাগুলি কুনো উদ্যানের পরিবর্তে রাজ্যের অন্য একটি অরণ্য এলাকায় স্থানান্তরিত হবে, যার নাম গান্ধীসাগর। যদিও কুনো জাতীয় উদ্যান প্রথমে চিতাদের বসবাসের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান পরিবেশের কারণে নতুন জায়গায় তাদের স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গান্ধীসাগর এলাকায় চিতাদের জন্য আরও ভালো সুযোগ থাকতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার ভারসাম্য চিতাদের বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।
এছাড়া, ব্রিটেন ও আমেরিকার কিছু বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেছেন, যে আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলের চিতাগুলি ভারতে টিকে থাকতে পারবে না। তাদের মতে, উত্তর আফ্রিকার চিতাগুলি ভারতে পরিবেশগত দিক থেকে আরও উপযুক্ত হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে, ভারত সরকার চিতাদের নতুন পরিবেশে সফল পুনর্বাসনের জন্য উত্তরের চিতাগুলির আমদানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে পারে।
গোয়েন্দা সাহায্যে দল গড়ছে ইউনূস, জামাতমদতপুষ্ঠ সরকারকে কড়া আক্রমণ বিএনপির
চিতাদের ভারতীয় ভূমিতে পুনর্বাসন একটি সাহসী উদ্যোগ, তবে প্রকৃতপক্ষে এটি সফল হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। পরিবেশগত উপযোগিতা, চিতাদের শিকারী প্রকৃতি, এবং তাদের শারীরিক সক্ষমতা সব কিছুই একসঙ্গে কাজ করে, এবং এসবের মধ্য দিয়ে চিতাদের টিকে থাকা সম্ভব হবে কিনা, তা সময়ের মধ্যেই প্রমাণিত হবে।