এবার ক্লাস ওয়ান থেকেই চালু সেমিস্টার! প্রাইমারিতে বড় বদল

কলকাতা: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে সেমিস্টার চালু করার কথা আগেই ঘোষণা করেছে সংসদ৷ এসেছে আমূল পরিবর্তন৷ এবার প্রাথমিকেরও খোলনলচে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ বছরে…

primary education semester system

কলকাতা: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে সেমিস্টার চালু করার কথা আগেই ঘোষণা করেছে সংসদ৷ এসেছে আমূল পরিবর্তন৷ এবার প্রাথমিকেরও খোলনলচে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ বছরে একবার নয়, দু’বার করে পরীক্ষার কথা ঘোষণা করলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল৷ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি জানান, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু নয়া পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে৷ কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? পর্ষদের তরফে বলা হচ্ছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার জন্য ছোট থেকেই যাতে রাজ্যের পড়ুয়ারা নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে, তাই এই সিদ্ধান্ত৷ (primary education semester system)

প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সেমিস্টার primary education semester system

প্রাথমিক পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ২০২৫ সালের জুন মাসে হবে ই পদ্ধতিতে প্রথম পরীক্ষা। প্রতিট ক্লাসে দু’বার করে পরীক্ষায় বসতে হবে পড়ুয়াদের৷ প্রথম সিমিস্টার ৪০ নম্বরে এবং পরের সেমিস্টারটি হবে ৬০ নম্বরে।

   

পাঠ্যক্রমে বদল primary education semester system

সেই সঙ্গে পাঠ্য়ক্রমেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এবার থেকে একটি শিক্ষাবর্ষকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে৷ জানুয়ারি থেকে জুন এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর৷ পর্ষদের এই প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন গৌতম পাল৷ 

ক্রেডিট স্কোর সিস্টেম primary education semester system

চালু করা হবে ক্রেডিট স্কোর সিস্টেম৷ প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য বছরে ৩৭৬ ঘণ্টা ক্লাসের সময় ধার্য হয়ছে। এই সময়ের উপর দেওয়া হবে ‘ক্রেডিট স্কোর’। সর্বোচ্চ ‘ক্রেডিট স্কোর’ ১৩.৫। তবে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বছরে ক্লাস  হবে ৪৬০ ঘণ্টা। এই তিন শ্রেণির জন্য সর্বোচ্চ ‘ক্রেডিট স্কোর’ থাকবে ১৬.৫। গোটা বাংলার জন্য একই প্রশ্নপত্র ঠিক করা হবে৷ 

Education-Career: West Bengal Primary Education Board introduces a semester system for primary classes starting 2025. President Gautam Pal announces twice-yearly exams to prepare students for national competition. This change aims to enhance academic readiness from an early age.