বৃহস্পতিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে পিছিয়ে থেকে ও জয় সুনিশ্চিত করেছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। সূচি অনুযায়ী এদিন প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল জেমি ম্যাকলারেনরা। তবে প্রথম থেকেই আজমির সুলজিকদের দাপট যথেষ্ট চাপে রেখেছিল মেরিনার্সদের। তারপর ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে রিকি সাবংয়ের গোলে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব দল। যারফলে আরও কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় মোহনবাগান। জবাবে জেসন কামিন্স থেকে শুরু করে মনবীর সিংয়ের মতো ফুটবলাররা বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে আসলেও গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি।
প্রথমার্ধের শেষে একটি গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকতে হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলবার্তো রদ্রিগেজের দক্ষতায় ম্যাচে ফিরে আসে সবুজ-মেরুন। তারপর যত সময় এগিয়েছে চাপ ক্রমশ বাড়িয়েছে ময়দানের এই প্রধান। যা সামাল দিতে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে পাঞ্জাবের রক্ষণভাগ। তারপর পুলগা ভিদালের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড নিঃসন্দেহে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ দিয়েছিল বাগান শিবিরে। পেনাল্টি থেকে গোল করে জেমি ম্যাকলারেন ব্যবধান বাড়ানোর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সবুজ-মেরুনকে।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় গোল করে পাঞ্জাবের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়ে যান আলবার্তো রদ্রিগেজ। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের ব্যবধানে আসে জয়। যারফলে অনায়াসেই আইএসএলের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রাখল মোহনবাগান। ফুটবলারদের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট খুশি বাগান কোচ জোসে মোলিনা। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” আজ দলের খেলায় আমি যথেষ্ট খুশি। গত গোয়া ম্যাচের পর ঘুরে দাঁড়ানো খুব দরকার ছিল। আমাদের ছেলেরা একটা ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে জয়ে নিয়ে আসতে পারায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত”।
পাশাপাশি পুলগা ভিদালের মাঠ ছাড়ায় দল যে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছিল সেই কথাও বলে গেলেন সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ কোচ। তাঁর মতে, ” প্রথম থেকে আমরাই ম্যাচ জুড়ে প্রভাব ফেলেছিলাম। কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি করে ও সেটা কাজে লাগাতে পারিনি। তারপর পাঞ্জাব অনবদ্য একটা গোল করে যায়। তবে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আমরা গোল পেয়ে গিয়েছিলাম। তারপর ভিদাল লাল কার্ড দেখার ফলে আমাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। ম্যাচের প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে আমরা গোলের অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত জয় এসেছে। আমাদের কাছে এখন লিগ শীর্ষে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়”।