সিরিয়ার (Syria Conflict) অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার সকালে জানায়, ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর হামলায় ১৪ জন পুলিশ কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনা সিরিয়ার(Syria Conflict) টারটুস এলাকার গ্রামীণ অঞ্চলে ঘটে। ব্রিটিশ(Syria Conflict) সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হত্যাকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত “অ্যাম্বুশ” বা ফাঁদ পেতে করা হয়।
সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাশার আল-আসাদের অনুগতদের দ্বারা পরিচালিত এই হামলা সিরিয়ার বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর বড় আঘাত। পাশাপাশি, আরও ১০ জন পুলিশ সদস্য এই হামলায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। সিরিয়ার(Syria Conflict) নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, এই ধরনের হামলা যারা চালায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “সিরিয়ার (Syria Conflict) নিরাপত্তা নষ্ট করতে এবং নাগরিকদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াতে যে কেউ চেষ্টা করবে, তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।”
এই হামলার প্রেক্ষিতে সিরিয়ায় (Syria Conflict) চলমান অস্থিরতা আরও বেড়ে গেছে। সম্প্রতি হোমস শহরে সিরিয়ার(Syria Conflict) পুলিশ রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করেছিল। কারণ, সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই বিক্ষোভে আলাওয়াইট এবং শিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা নেতৃত্ব দেন। সিরিয়ায় (Syria Conflict) আসাদের পতনের দুই সপ্তাহ পর থেকেই এই ধরনের বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, সিরিয়ার (Syria Conflict) বর্তমান সরকার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি বিলুপ্ত করা হবে এবং তাদের একত্রিত করে একটি সংগঠন গড়ে তোলা হবে, যা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। তবে, আমেরিকার সমর্থিত কুর্দিশ সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (SDF) এই চুক্তিতে যোগ দেয়নি।
সিরিয়ায় আসাদ সরকার পতনের পর থেকেই রাজনৈতিক এবং সামাজিক অস্থিরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। একদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে আসাদের অনুগতরা বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।