নদীর সঙ্গে জুড়বে নদী! পরিবেশবিদদের বিপদবার্তা উড়িয়ে পদক্ষেপ মোদীর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)মধ্যপ্রদেশে পৌঁছে উদ্বোধন করলেন এক ঐতিহাসিক নদী সংযুক্তিকরণ প্রকল্প—কেন-বেতোয়া নদী সংযোগ প্রকল্প। এই প্রকল্পটি মূলত ভারতের নদী ব্যবস্থাপনা এবং জল সংরক্ষণের…

Prime Minister Modi highlights the success of Coldplay's concerts in Mumbai and Ahmedabad, emphasizing India's vast potential for live events. He advocates for infrastructure development to boost the concert economy and attract international artists.

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)মধ্যপ্রদেশে পৌঁছে উদ্বোধন করলেন এক ঐতিহাসিক নদী সংযুক্তিকরণ প্রকল্প—কেন-বেতোয়া নদী সংযোগ প্রকল্প। এই প্রকল্পটি মূলত ভারতের নদী ব্যবস্থাপনা এবং জল সংরক্ষণের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, উদ্বোধনের পর থেকেই এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিরোধিতা শুরু হয়েছে, বিশেষ করে কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে। 

শরিকদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিজেপি

   

কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল এবং পরিবেশবিদরা প্রকল্পটির বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তা প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব আরও তীব্র করবে। বিশেষ করে, নদী সংযুক্তিকরণের ফলে স্থানীয় পরিবেশ, প্রাণীজগৎ এবং কৃষিকাজের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে, যা পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী সকল বিরোধিতা উপেক্ষা করে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।

প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে, যিনি নদী সংযুক্তিকরণের প্রথম পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী ২০০২ সালে এই ধারণাটি সামনে আনেন, এবং তার আমলে প্রথমবারের মতো নদী সংযুক্তিকরণের খসড়া তৈরি হয়। এটি ছিল একটি অগ্রগতি, যা দেশের নদী ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু সমস্যাগুলোর সমাধানে এক নতুন দিগন্ত খুলতে সাহায্য করবে। আজ, ২২ বছর পর, মোদী সরকার সেই প্রস্তাবিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

অম্বেডকরের অবদানকে অস্বীকার করেছে কংগ্রেস, রাহুলদের পাল্টা আক্রমণ মোদীর

প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হল, দেশের বিভিন্ন নদীকে একত্রিত করে সেচের ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা এবং খরার মতো পরিস্থিতিতে জল সংকটের সমাধান করা। বিশেষত, মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ রাজ্যের অনেক অঞ্চল জলাভাবের কারণে কৃষিতে সমস্যা অনুভব করছে। প্রকল্পটি বৃহত্তর এলাকায় পানি সরবরাহের সুবিধা প্রদান করবে এবং সেচ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে।

যদিও বিরোধীরা প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে চিন্তিত, মোদী সরকারের দাবি, এটি সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পিত এবং যথাযথ পরিবেশগত অনুমোদনের অধীনে বাস্তবায়িত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি শুধু কৃষকদের জন্য নয়, বরং দেশের অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্যও দীর্ঘমেয়াদী উপকারী হবে। সরকারের দাবি, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কৃষকদের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং দেশব্যাপী জলবণ্টন ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।

তবে, বিরোধীরা যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা অনুধাবনযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নদী সংযুক্তিকরণের ফলে নদীর প্রতিবন্ধকতা এবং তাদের প্রাকৃতিক প্রবাহে পরিবর্তন আসতে পারে, যার ফলে অপ্রত্যাশিত পরিবেশগত ক্ষতি হতে পারে। অতএব, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে সমস্ত প্রাসঙ্গিক পরিবেশগত গবেষণা এবং পর্যালোচনার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা জরুরি।

এবার মণিপুর সীমান্তে পা বাড়াল আরাকান সেনা! উদ্বেগে দিল্লি

এই প্রকল্পের উদ্বোধন দেশব্যাপী রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। একদিকে, যেখানে বিজেপি এবং তার সমর্থকরা এটিকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে বিরোধীরা এটিকে সরকারের গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবেই অভিহিত করছে।