কলকাতা: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি৷ প্রাথমিকের নিয়োগে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই মামলার পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করা হল৷ সেখানেই সব হিসাবই তুলে ধরল ইডি। একেবারে নাম ধরে হিসাব দেওয়া হল৷ কার কাছ থেকে কত নগদ এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা তাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হল চার্জশিটে। ইডি-র তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় এখনও পর্যন্ত দুর্নীতির পরিমাণ ১৫১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। (school recruitment scam)
কারা অভিযুক্ত school recruitment scam
প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য-সহ মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করে ইডি৷ তবে শুধু ব্যক্তি নন, বিরাট এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিল ২৮টি সংস্থা, ট্রাস্ট এবং ফার্ম৷ সব মিলিয়ে মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ৫৪।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মাথা ছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়! ইডি-র চার্জশিটে বলা হয়েছে, মিলিতভাবে ‘অপা’র দুর্নীতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা। দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়ে পার্থ ও অর্পিতার কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ১০৩ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা নগদ এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা school recruitment scam
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে সবার আগে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি৷ সেখান থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই সঙ্গে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও উদ্ধার করেন তাঁরা। এর কয়েকদিন পর অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে পৌঁছায় ইডি৷ ওই আবাসনে দুটি ফ্ল্যাট ছিল তাঁর নামে৷ ওই দুটি ফ্ল্যাট থেকে আরও ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়। প্রচুর টাকার গয়নাও হাতে আসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। অর্পিতার বেলঘরিয়ার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে মোট ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার হয় বলে চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি৷ উদ্ধার হওয়া গয়নার মোট মূল্য ৫ কোটি ৮ লক্ষ টাকা৷ এ ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে দুর্নীতি করে ‘অপা’র ঘরে এসেছিল ৪৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা৷
এছাড়াও মানিক এবং তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার উদ্ধার করে ইডি৷ এছাড়াও কুন্তল ঘোষ, অয়ন শীল এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-এই তিনজনের দুর্নীতির পরিমাণ ১৫ কোটি ৩ লক্ষ টাকা।
বিভিন্ন সংস্থার মধ্যমে দুর্নীতি school recruitment scam
দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে বেশ কিছু সংস্থাও৷ যার মধ্যে অন্যতম ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানি৷ এই সংস্থার অধীনে থাকা আটটি সম্পত্তির মিলিত দুর্নীতির মূল্য ৭ কোটি ৪৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৪২ টাকা। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৭৬ লক্ষ ১২ হাজার নগদ টাকা৷ দুর্নীতি জড়িত ‘ইম্প্রোলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’-এর দুর্নীতির পরিমাণ ১৩ কোটি ৫৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৭৭ টাকা৷ এছাড়াও বেনামে থাকা একাধিক জমি, সম্পত্তি, ফ্ল্যাটের সন্ধান পয়েছে ইডি৷
West Bengal: The ED’s investigation into the school recruitment scam reveals a massive corruption of ₹151.26 crore. The fifth chargesheet details the cash and properties seized from various individuals involved. Central investigators presented these findings in court.