RG-Kar-এর সেমিনার হলে ধর্ষণের প্রতিরোধের কোনও চিহ্ন নেই, CFSL-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্য

CFSL report in RG Kar case কলকাতা: কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (CFSL) রিপোর্টে আরজি কর-কাণ্ডে নয়া মোড়৷ সিএফএসএল-এর রিপোর্ট চাঞ্চল্য৷ ১২ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে,…

CFSL report in RG Kar case

CFSL report in RG Kar case

কলকাতা: কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (CFSL) রিপোর্টে আরজি কর-কাণ্ডে নয়া মোড়৷ সিএফএসএল-এর রিপোর্ট চাঞ্চল্য৷ ১২ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার তলার সেমিনার রুমে প্রতিরোধের কোনও চিহ্ন মেলেনি৷ অর্থাৎ ঘটনাস্থল সেমিনার কক্ষ নয়৷ অন্যত্র ধর্ষণ ও খুনের পর দেহ এনে রাখা হয়েছিল সেমিনার হলে৷ এমনকি কাঠের পাটাতনের উপর রাখা যে বিছানা থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানেও ধস্তাধস্তির প্রমাণ মেলেনি৷ কোনও প্রতিরোধের চিহ্ন খুঁজে পাননি কেন্দ্রের ফরেন্সিক দল৷ (CFSL report in RG Kar case)

ক্রাইম সিন বদল  CFSL report in RG Kar case

আরজি কর-কাণ্ডের পর অনেকেই ঘটনাস্থল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল৷ এটা সাজানো ক্রইম সিন বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে৷ ওই পড়ুয়া চিকিৎসককে অন্যত্র ধর্ষণ ও খুনের পর চারতলার সেমিনার হলে ফেলে রাখা হয়েছিল বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে৷ কার্যত সেই সন্দেহই সত্যি বলে উঠে এল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্টে। কিন্তু, এখন প্রশ্ন হল, কোন সেমিনার হলকে ক্রাইম সিন হিসেবে দেখানো হল? এই ঘটনায় একমাত্র ধৃত অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে কি অন্য কেউ জড়িত ছিল? গোটা বিষয়টা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। অপরাধ স্থল বদলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা৷ 

   

তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ CFSL report in RG Kar case

চলতি বছর ৯ অগাস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় পড়ুয়া চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত দেহ৷ প্রাথমিক ভাবে ঘটনার তদন্তভার নেয় কলকাতা পুলিশ৷ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। ছেড়া হেডফোনের টুকরো, নির্যাতিতার আইডেন্টিটি কার্ড-সহ অন্তত ৪০টি জিনিস উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকে। যার অধিকাংশই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সিএফএসএলে। পরে অবশ্য কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তেভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআই-এর হাতে। সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করার পরই সিএফএসএলের সাহায্য চায়৷ গত ১৪ অগাস্ট আরজি করে আসেন সিএফএসএলের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা৷ ক্রাইম সিন পরিদর্শন করে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেন তাঁরা৷ তার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট।

rg kar case

প্রমাণ লোপাট

আরজি কর-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়৷ তবে, তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন। রিমান্ড লেটারে বলা হয়, অপরাধস্থল সুরক্ষিত রাখতে কোনও পদক্ষেপই করেননি তাঁরা। এই ঘটনার পরই সেমিনা রুমের একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়৷ তাতে দেখা যায় সেমিনার হলের ভিতরে অনেক জড়ো হয়েছেন৷ যা প্রমাণ নষ্টের অভিযোগকে আরও জোরালো করে তুলেছে৷ 

 West Bengal: The CFSL report reveals a new twist in the RG Kar case. The 12-page report states no signs of resistance were found in the seminar room, indicating the crime occurred elsewhere. The forensic team found no evidence of struggle on the bed where the body was found.