জোড়া পদক জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন মনু, নাম উঠল না মনোনয়নে

বর্তমানে ভারতীয় শুটিংয়ের (Indian Shooter) রানি হিসেবে পরিচিত মনু ভাকের (Manu Bhaker)। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে (Paris Olympic 2024)ইতিহাস গড়েছেন। প্রথম ভারতীয় অ্যাথলিট হিসেবে এক…

Manu Bhaker name missing from major dhyan chand khel ratna Award list

short-samachar

বর্তমানে ভারতীয় শুটিংয়ের (Indian Shooter) রানি হিসেবে পরিচিত মনু ভাকের (Manu Bhaker)। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে (Paris Olympic 2024)ইতিহাস গড়েছেন। প্রথম ভারতীয় অ্যাথলিট হিসেবে এক অলিম্পিকে জোড়া পদক জয় করেছেন তিনি। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল সিঙ্গলস এবং মিক্সড ডাবলস ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতে ভারতের শুটিং ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছেন। তবে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারের (Major Dhyan Chand Khel Ratna Award) জন্য মনোনীত হয়নি তাঁর নাম। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে তাঁর ভক্তদের মধ্যে।

   

বক্সিং-ডে টেস্টে বাদ পড়ছেন রোহিত? রইল সম্ভাব্য পরিবর্ত ক্রিকেটার

ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে পরিচিত মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেছেন মনু ভাকের। এই ঘটনায় ক্রীড়ামহলে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কেন মনু এই সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন? অলিম্পিকে জোড়া পদক জয়ের পরও কি তাঁর পুরস্কারের দাবিদার হওয়ার অধিকার নেই? এসব প্রশ্ন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।

ক্রীড়ামন্ত্রকের একটি কমিটি খেলরত্ন পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকা তৈরি করেছে, যেখানে মনু ভাকেরের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভি ভি রামসুব্রহ্মম। ভারতের হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং, প্যারালিম্পিক সোনাজয়ী প্রবীণ কুমারদের নাম তালিকায় থাকলেও, অলিম্পিকে জোড়া পদক জয়ী মনু ভাকের বাদ পড়েছেন এই তালিকা থেকে।

নিজাম শহরের বিরুদ্ধে কেন অতিরিক্ত সতর্ক পেদ্রো বেনালি?

ক্রীড়ামন্ত্রকের দাবি, নিয়ম মেনে ভারতীয় শুটার নাকি খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য আবেদনই করেননি। তবে, মনুর পরিবার এর বিরুদ্ধে দাবি করেছেন যে তাঁরা আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনও প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়নি। মনুর বাবা এই বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, “অলিম্পিকে জোড়া পদক জেতার পরেও যদি খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে হয়, তাহলে এই ব্যবস্থা ক্রীড়াবিদদের জন্য উৎসাহজনক কি না, সেটা ভাবার বিষয়।”

প্রকাশ্যে এল ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের চূড়ান্ত দিনক্ষণ এবং ভ্যেনু

এমন পরিস্থিতিতে, একে একে সামনে আসছে অন্যান্য ক্রীড়াবিদের উদাহরণ। যেমন, ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামি, যিনি আবেদন না করেও অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন। কারণ বিসিসিআই তাঁর পক্ষ থেকে বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু মনু ভাকেরের ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি উদ্যোগ বা সাড়া পাওয়া যায়নি। মনু নিজেও ২০২০ সালে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছেন, কিন্তু এবার খেলরত্ন পুরস্কারে মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হলেন।

মনু ২০২৪ সালে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর অবদানের যথাযথ মূল্যায়ন হল না বলে মন্তব্য তাঁর ভক্তদের। মনুর বাবা রামকৃষ্ণ ভাকের এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, “যখন কেউ আন্তর্জাতিক স্তরে এমন একটি কীর্তি গড়ে, তখন পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য আগ্রহী হওয়া উচিত না।” তাঁর ভাষায়, সরকার যদি শুটিং বা অন্য খেলা সম্বন্ধে আরও সচেতন থাকে, তবে নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা আরও উৎসাহিত হবে। এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং শুটিং তথা অন্য খেলায় একে একে আরও অনেক চমৎকার শুটারের উত্থান ঘটবে, এটাই আশাবাদ।

হায়দরাবাদ ম্যাচের আগে বড় ধাক্কা বাগান শিবিরে, বাদ পড়ছেন এই ফুটবলার

যদিও এখনও খেলরত্ন পুরস্কারের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষিত হয়নি, তবে আশা করা যায় যে মনু ভাকের তার যোগ্য সম্মান পাবেন। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতি ক্রীড়ামহলে একধরনের প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে— “যতই একক পদক জিতুক, আমাদের অ্যাথলিটদের কেন এই অবমূল্যায়ন?”