কেরালার কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে কী সাফাই দিলেন চেরনিশভ?

বর্তমানে হেরেই চলেছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। গত মরসুমে সকলকে টেক্কা দিয়ে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতার এই প্রধান। তাঁদের পারফরম্যান্স তাঁক লাগিয়ে দিয়েছিল সকলকে।…

Mohammedan SC Coach Andrey Chernyshov Reflects on Tough 4-0 Loss to Hyderabad FC

short-samachar

বর্তমানে হেরেই চলেছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। গত মরসুমে সকলকে টেক্কা দিয়ে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতার এই প্রধান। তাঁদের পারফরম্যান্স তাঁক লাগিয়ে দিয়েছিল সকলকে। সেই সুবাদেই এই বছর আইএসএল খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে মহামেডান। প্রথম ম্যাচে জয় না আসলেও তাঁদের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট খুশি ছিল সমর্থকরা। সেই ধারা বজায় ছিল দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচে। প্রথম জয় ও পেয়ে গিয়েছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। কিন্তু সেটা বেশিদিন বজায় থাকেনি। পড়শী ক্লাব তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর এখনও জয়ের সরণিতে ফিরতে পারেনি দল।

   

যার প্রভাব পড়েছে পয়েন্ট টেবিলে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে সাদা-কালো ব্রিগেড। এক্ষেত্রে কোচের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সমর্থকদের মধ্যে। তাঁদের তরফে কোচ বাতিলের কথা শোনা গেলেও এখনও সেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। বলতে গেলে দলের আইলিগ জয়ী কোচের উপরে ভরসা রেখেই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে সাদা-কালো ব্রিগেড। সেইমতো গত রবিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সম্পূর্ণ সময় শেষে তিন গোলের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছে এই প্রধানকে।

এদিন হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেন সাদা-কালো গোলরক্ষক ভাস্কর রায়‌। তাঁর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়েই প্রথম গোল তুলে নেয় কেরালা। তারপর আরও দুইবার। যার কোনও জবাব ছিলনা মহামেডান ডিফেন্ডারদের কাছে। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ থাকতে দেখা যায় সাদা-কালো কোচ আন্দ্রে চেরনিশভকে। তিনি বলেন, “আমরা ম্যাচের প্রথমার্ধে যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছি। দলের ডিফেন্ডাররা দায়িত্বের সাথে মাঠে লড়াই করেছিল। তারপর প্রতি আক্রমণে ও উঠতে শুরু করেছিল ছেলেরা। বলতে গেলে প্রথমার্ধ আমাদের জন্য খুব একটা খারাপ ছিল না। কিন্তু একটা ভুল সবকিছু বদলে দিল। আমাদের পারফরম্যান্স খারাপ হতে শুরু করল।”

তবে গোল পেতে শুরু করলে পরিস্থিতি যে বদলে যাবে সেই নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী এই রাশিয়ান কোচ। তাঁর কথায়, ” গোল করতে না পারলে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। এখন গোল করা আমাদের জন্য বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। যখন আমাদের ছেলেরা গোল করতে শুরু করবে তখন দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়বে। কিন্তু এখন আমাদের সকলকে পরিশ্রম করে যেতে হবে এবং আরও ভাল পারফরম্যান্স করতে হবে।”