Drone Attack on Kazan: আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রাজত্ব শেষ হতে চলেছে। তবে এমন অবস্থায় ইউক্রেন আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন (Russia-Ukraine War) এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান দেখিয়েছে, তবে এবার কাজান শহরের ভবনগুলিতে ড্রোন হামলা (Drone Attack on Kazan) দেখিয়েছে যে প্রায় সাড়ে তিন বছর পরেও তার সেনাবাহিনী দুর্বল হয়নি।
আমেরিকা ইউক্রেনের পেছনে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে। জো বাইডেনের সমর্থনে, ইউক্রেন প্রতিবার রাশিয়াকে আঘাত করে। এখন কাজানের বহুতল ভবনে ভয়াবহ ড্রোন হামলা তার প্রমাণ। ক্রিসমাসের আগে এটিই রাশিয়ার ওপর ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় হামলা। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের আরেকটি হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাশিয়া। এখন পুরো বিশ্বের দৃষ্টি পুতিন এই হামলার জবাব কীভাবে দেন সেদিকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাশিয়া ওরশেনিক মিসাইল (Oreshnik missile) ব্যবহার করতে পারে।
ইউক্রেন বলেছে এর আগে কিয়েভে হামলা করেছিল রুশ সেনা। এটা তার প্রতিশোধ। কিন্তু কাজানে ইউক্রেনের হামলাকে 2001 সালে নিউইয়র্কে 9/11 জঙ্গি হামলার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী কাজানের উঁচু ভবনগুলোকে টার্গেট করে। এরপর বিস্ফোরণ ও বিল্ডিংটিতে ব্যাপক আগুন লেগেছে বলে দেখা যাচ্ছে ভাইরাল হওয়া হামলার ভিডিওতে। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিকট বিস্ফোরণে আশপাশের লোকজন কেঁপে ওঠে। মানুষ যখন বড়দিনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন এই বিস্ফোরণ রুশ নাগরিকদের মধ্যে নতুন আতঙ্ক তৈরি করছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও জেলেনস্কির নেতৃত্বে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী পুতিনের কাছে পরাজিত হয়নি।
পুতিনের কাছ থেকে বড় হামলার আশঙ্কা! ইউক্রেনীয় সেনারা ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার উপর বড় হামলা চালিয়েছে, কিন্তু এখন ভ্লাদিমির পুতিন কীভাবে প্রতিশোধ নেবে তার জন্য ইউক্রেনকে প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশ্ব জানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ কৌশল জঘন্য হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে এবং ইউক্রেন পাল্টা জবাব দিলে রাশিয়া আবার আক্রমণ করে। এটি প্রায় ৩ বছর ধরে হচ্ছে।
কাজান শহরে হামলার পর ইউক্রেনের নাগরিকরা এখন চিন্তিত যে রাশিয়া কিয়েভে হামলার জন্য ওরশেনিক মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এই মাসের শুরুতে মস্কো ডিনিপ্রোতে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল রাশিয়া। এমনটা হলে ইউক্রেনে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।